\ জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, শেখ হাসিনার আহবান গ্রাম বাংলার গরিব-অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ২৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অয়োজনে ‘৩৯ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের’ চিকিৎসকগণের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে গরিব অসহায় মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে হাসপাতাল গুলো। গ্রামবাংলার তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা করা ও সেবার মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসকদের অবস্থান করতে হবে।
এমপি গোপাল আরো বলেন, আমরাও বীরগঞ্জের মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দীপ্ত জীবন হাসপাতাল গড়ে তুলেছি। যেখানে বহিঃবিভাগে প্রতিনিয়ত ও চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে তৈরি করে এবং প্রায় ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দেওয়া এটি বর্তমান সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব সাধন করেছে। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন শেখ হাসিনার সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল আজম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান, ওসি মনোজ কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ফারুক।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানকারী ৭ জন চিকিৎসক ডা. মো. মোরসালিন, ডা. মো. রায়হান কবির জিকো, ডা. হারদুন নাহার টপি, ডা. মৌমিতা বসাক, ডা. তৃপনা প্রভা, ডা. অন্তরা সেন ও ডা. তাজরুভা তাবাস্সুমকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. হারদুন নাহার টপি।
উল্লেখ্য, ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আগামী ২৩ ফেব্রæয়ারী ২০২০ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নুতন করে উদ্বোধন করা হবে।