বন্দরে অপেক্ষামান নাবিক




এই নব বর্ষের আনন্দ উৎস আর বেদনায় তুমি কোথায় কতো দূরে প্রিয়তম?
এই নদী ও এই সমুদ্র বন্দরে আমি একা অপেক্ষামান এক নাবিক।
তোমার জন্যে আরও কতোদিন প্রতিক্ষা করলে শুনতে পাবো প্রত্যাবর্তনের ধ্বনি,
হে সুন্দর প্রিয়তম,হে সুন্দর প্রেম ও ভালোবাসা আমার
তুমি ফিরে এসো আর দেখো,নতুন যৌবনের বিস্ময় ও বিজ্ঞ অভিজ্ঞতায়!
পৃথিবীর সদ্য ফুলগুলো ফুটে উঠছে বিচিত্র রংয়ে কি ঐশ্বরিক!
আমাদের শৈশর ও আমাদের কৈশোর বেলার স্মৃতিমাখা মধুময় গ্রাম,
আর নতুন নগরের উদ্ভাববিকাশ চেতনাকে স্পর্শ করে জীবন্ত!
শিশির সিক্ত প্রেম আর সবুজ ঘাস বিছানো পথের ভালোবাসায়,
তোমার আর আমার বাসনার স্বপ্নগুলো আজো জ্ঞানে দীপ্তিময়!
নির্জন কালোছায়ার আঁধার ও আনন্দ আলোর জ্বল-জ্বল ঠিকানায়!
সেই অতীতে আমরা দুজন নতুন দিনের জন্য যে স্বপ্ন দেখতাম।
কখনো অনাহারী আবার কখনো অভূক্ত বেদনায় ক্লান্ত
এই দেহ ও মন পুড়ে পুড়ে ক্ষয়ে যেত মানবিক সাধনায়!
মনে হতো মানবতা ও সভ্যতা যেন অন্তিম শয্যায় দীর্ঘকাল জীর্ণ শীর্ণ!
এইতো নদী আর কতো দূর হেঁটে গেলে পাবো
তোমার ভাসমান জাহাজ আর নতুন সূর্যের সাক্ষাত,
আমাদের সম্মান ও গৌরব চেতনার নিপুণ ও দক্ষ ঠিকানা।
যেখানে মনুষ্যত্বের অন্তকরণ থেকে রাতে চাঁদ ও

প্রভাত আলো জন্ম দেয় নতুন বর্ষ।
আর সেখান থেকেই আমাদের ভালোবাসার

নতুন কর্ম ঊষর ভূমিতে জাগাবে নতুন ফসল।
তারপরও নদীর দুকূল ভেঙে যাবে দীর্ঘ সমুদ্রের খোঁজে,
কিন্ত আমি মেষপালক অতন্দ্র রাখাল কবি,লিখি আর সুরে সুরে বাজাই বাঁশি!
নিত্য কৃষকের প্রিয় মৃত্তিকা ও শস্যের মাঠ করে স্পর্শ।
আমাদের প্রত্যাশা ও অগণিত আকাঙ্ক্ষার

নির্মাণগুলো জীবনকে রসদ দেবে সময়ের আর্দশ চেতনায়!
জানিনা একদিন কোন লুটেরী ও জুয়ারী সম্রাট
দুর্দশায় বিক্রি করে দিয়েছিল তার স্ত্রী!
তারপর সেই পরাজিত ব্যর্থ সম্রাট কোথায়
হারিয়ে গেলো,কোন অজানা আর অচিন কবর ঠিকানায়!
আজো সেই জমিনে শুধুই খুনোখুনি রক্তপাত আর মানুষের লাশ।
কিন্তু ব্যস্ত সে শান্তির ছোট গ্রামে এখন শুধুই সন্ত্রাস হানাহানি,
আর নগর বিধ্বস্ত ক্যাসিনো মাদক ও দূর্নীতির যন্ত্রণায়!
আমরা অনাহারী আগুনে পোড়া ক্ষধার্ত মানুষগুলো শুধুই জেগে থাকি অসহায়।
এই নব বর্ষে তুমি ফিরে এলে আমাদের অধিকার

আর আশাটুকু বাস্তবায়ন হবে সাম্যের সু-ষমবন্টন সম্পদ।
তুমি কতো দূর প্রিয়তম,আর কতোদিন প্রতিক্ষায় থাকবো বলো,
আবার কখন শুনতে পাবো তোমার প্রত্যাবর্তনের মধুময় সুরের ধ্বনি।