ভাঙ্গুড়ায় পুষ্পমাল্য তৈরিতে ব্যস্ত তরুণরা

রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। এদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই দিবসটি উপলক্ষে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র স্মৃতিসৌধটি সেজেছে বর্ণিল সাজে। এছাড়া এদিন ভোরে অনেকে স্মৃতিসৌধে ব্যক্তিগত ভাবেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের। এরইমধ্যে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নামে পুষ্পমাল্য তৈরি করতে স্থানীয় পুষ্পমাল্য তৈরীর দোকানে অর্ডার দিয়েছেন। মধ্যরাতের মধ্যেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে পুষ্পমাল্য পৌঁছে দিবেন দোকান কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সারারাত দোকান খোলা রেখে ভোর পর্যন্ত পুষ্পমাল্য তৈরীর কাজ করবেন দোকানে কর্মরত তরুণরা। যাতে পুষ্পপমাল্য নিতে এসে কাউকেই ফিরে যেতে না হয়।
এ অবস্থায় উপজেলা শহরের একমাত্র পুষ্পমাল্য তৈরির দোকান সরকার কসমেটিক্স এন্ড স্টেশনারিতে কর্মরত সকলকে বেশ চাপ পোহাতে হচ্ছে।দোকানের মালিক আরিফুল ইসলাম অর্ডার করা পুস্পমাল্য রাত্রের মধ্যে তৈরি করে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে অন্তত ১০ জন তরুণকে কাজে লাগিয়েছেন। পাবনার বিভিন্ন উপজেলার নার্সারি থেকে গোলাপ, গাঁদা ও রজনীগন্ধা সহ নানা জাতের পুষ্প এনে পুষ্পমাল্য তৈরি করে তিনি তা সরবরাহ করছেন স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে। উপজেলা শহরে আর কোনো পুষ্পমাল্য তৈরীর দোকান না থাকায় অর্ধশতাধিক অর্ডার পেয়েছে দোকানটি। মাঝারি আকারের পুষ্পমাল্য বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং বড় আকারের পুষ্পমাল্য বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।
দোকানে কর্মরত কলেজ ছাত্র জাহিদ হাসান বলেন, ‘কোনো লাভের জন্য নয়,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ভালোবাসা থেকে পুষ্পমাল্য তৈরিতে বড় ভাই আরিফুল ইসলামকে সহযোগিতা করি। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও ভাষা আন্দোলনের দিনটিকে পুষ্পমাল্য তৈরি করার মধ্য দিয়ে আমি স্মরণ করে রাখি। এ কাজে আমি এক অন্যরকম আনন্দ অনুভব করি।’
সরকার কসমেটিকস এন্ড ষ্টেশনারী মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আগে অনেক টাকা ব্যয় করে ও কষ্ট সহ্য করে ঈশ্বরদী অথবা পাবনা থেকে পুষ্পমাল্য কিনে এনে মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হতো।  তাই সেই কষ্ট থেকে উপজেলার মানুষগুলোকে মুক্তি দিতে নামমাত্র লাভে পুষ্পমাল্য তৈরি করে বিক্রি করি।’