বীরগঞ্জে হাসপাতালে একযোগে যোগদানকৃত দশজন মেডিকেল অফিসারকে ফুল দিয়ে বরন ও পরিচিতি সভা অনষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সমরেশ দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের যোগদান কৃত দশজন মেডিকেল অফিসারকে ফুল দিয়ে বরন করেন। তিনি বরন ও পরিচিত অনুষ্ঠানে নবাগত দশজন মেডিকেল অফিসাদের উদ্দেশ্য দায়িত্ব পালনসহ দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার মোঃ জাকিরুল ইসলাম, নবাগত যোগদানকৃত দশজন মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য সকল চিকিৎসক বৃন্দ, সকল মেডিকেল অফিসার, সকল মিডওয়াফ, নার্সিং কর্মকর্তা, কর্মকর্তা/কর্মচারী, উপজেলার বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগন বলেন, ৩০ শয্যা হাসপাতাল ৫০ শয্যা হাসপালে উন্নিত হওয়ার বছরের পর ধরে ২/১ ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালের অন্তবিভাগ, বহির বিভাগ উপজেলার ২টি উপ-স্বাম্থ্য কেন্দ্র, ৮টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও ওয়ার্ড স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমুহ পরিচালনা করা হয়েছে। ডাক্তার অভাবে স্থানীয় ক্লিনিক, বিভিন্ন জেলা শহর ও বিভাগিয় শহরে রোগিদের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
বিধি মোতাবেক ৩০ শয্যা হাসপাতাল ও ২টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৭জন ডাক্তার থাকার কথা আর ৫০ শয্যা হাসপালে ৩৭জন কনসালটেন্টনহ ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু সে স্থলে মাত্র ১২/১৩জন ডাক্তার দিয়ে পরিচালনা করতে রোগিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে। এ ছাড়াও ঝারুদার থেকে প্রতিটি সেক্টরে লোকবলের প্রচন্ড অভাব রয়েছে। সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপের জোর দাবি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর কবির ১০জন মেডিকেল অফিসার যোগদানের সংবাদ পেয়ে দশটি আলাদা চেম্বার সজ্জিত করেছেন, তাদের জন্য রেষ্ট হাউজসহ চিকিৎসকদের মনোনিবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।