সকালে উঠে হাঁটতে ভাল লাগে না বা দৌড়াতে ইচ্ছে করে না- এ রকম বলেন অনেকেই। আবার শরীর কিভাবে ফিট থাকবে, তা নিয়ে নিন্তিতও হন। অনেকে যুক্তি দেখান রাস্তা ছোট হয়ে যাচ্ছে, লোকজন বেশি এর ভেতর হাঁটা বা দৌড়ানো কি করে সম্ভব?
কিছুদিন আগেও রাস্তাঘাটে সাইকেলে চলতে দেখা যেতো অনেককেই। কিন্তু এখন সেই হার অনেকটাই কম। এর জায়গাটি দখল করে নিয়েছে অ্যাপস চালিত মোটরসাইকেল। কম খরচে এটি পাওয়া সহজ। এ জন্যই মুটিয়ে যাচ্ছেন, ওজন বেড়ে যাচ্ছে? এক্ষেত্রে সাইকেল চালানোর কথায় আবার ফিরে আসুন। সাইক্লিং-এ ওজন কমে খুব দ্রুত।
এবার সাইকেল চালনার উপকার জেনে নেওয়া যাক-
• এক ঘণ্টা সাইকেল চালালে প্রায় ৫০০ ক্যালরি কমে।
• শুধু ওজনই কমে না। একই সঙ্গে পায়ের পেশির গঠনেও সাহায্য করে সাইক্লিং।
• সাইকেল চালনার ফলে পুরো শরীরের ব্যালান্স করার ক্ষমতা তৈরি হয়।
• রাস্তাঘাটে সাইকেল চালাতে হলে খেয়াল রেখে চালাতে হয়, যার ফলে বাড়ে মনোযোগও। তাই আপনার সন্তান একটু বড় হলে তার জন্মদিনেও উপহার দিতে পারেন সাইকেল।
• সাইকেল চালালে যেমন ওবেসিটি, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগের থাবা থেকে দূরে থাকা যায়, একই ভাবে হার্টও ভাল থাকে।
• যারা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, তারা সাইক্লিং করলে উপকার পাবেন। ঘুম গভীর হবে।
• ইদানীং বহু মানুষই অবসাদের শিকার। তাই অবসাদ কাটাতে সাইকেল চালাতে পারেন। তবে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না। বাড়ি ফিরে অন্তত আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে বেরুতে পারেন।
• ভরপেট খেয়ে সাইকেল চালাবেন না। সকালে উঠে সাইকেল চালাতে চাইলে হালকা কিছু খেয়ে সাইকেলে চড়ুন।
• তাড়াতাড়ি সাইকেল না চালিয়ে মধ্যম গতিতে একটানা অনেকক্ষণ চালানোর অভ্যেস করুন।
• অনেকেই ছোট মাঠে বা ছাদে গোল গোল করে সাইকেল চালায়। এতে বেশি ওজন কমে না। খোলা রাস্তায় সাইকেল চালান। ভোরের দিকে চালালে বেশি গাড়ির ঝামেলা পোহাতে হবে না। তবে সাইকেল চালানোর সময়ে হেডফোন কানে দিবেন না।
প্রথাগত ব্যায়াম করতে না চাইলে সাইকেল চালিয়ে দেখুন। আর চালাতে না জানলে বরং শেখা শুরু হোক এবার।