রাজনগরে তদন্ত কমিঠির প্রতিবেদন বাস্তবায়নের দাবী

রাজনগরে তারাপাশা শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধামের কমিটি নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে বিরাজমান করছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, বিভিন্ন অনিয়ম-দ‚র্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমান পেয়েছে ৩ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিঠি। জানা গেছে- লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী আক্তার অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনাব ফেরদৌসী আক্রার তারাপাশা শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধামে পরিদর্শন করেন । এবং ঘঠনার সত্যতা যাছাই করতে রাজনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমানকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিস্ট কমিঠি গঠন করেন। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি (স্মারক নং- ০৫.৪৬. ৫৮৮০.০০৩.০১.০৩১.১৭-৭৩৩) সংশ্লিস্ট অফিসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরিত প্রতিবেদনে উলে­খ করা হয়- বর্তমান কমিটি অবৈধ, বর্তমান কমিটি তদন্ত কমিটির নিকট আয়-ব্যয় হিসাবের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলেও বর্তমান কমিটি মাধ্যমে অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেন- বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে বহুল প্রচার -প্রচারণার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা, দুই অংশ বিশিষ্ট রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় এবং প্রতি সাপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সমপরিমান টাকা ব্যাংকে জমা রাখা। নাম প্রকাশে একাধিক লোকজন জানান- সঠিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ধর্মীয় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা খুব বেশি প্রয়োজন। এখানকার পরিস্থিতিতে যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দ‚র্ঘটনা, কিছু সংখ্যক লোক অপশক্তির সহযোগিতার বিভিন্ন চক্র নিয়ে কাজ করছে। অচিরেই তা প্রশাসনের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবী জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুদ্রজিৎ দে এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী মৃদুল কান্তি দেব, সত্যরঞ্জন দেব, ব্রজবিহারি ধর ফটিক বলেন – আমরা দীর্ঘদিন ধরে শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধামের সাথে জড়িত রয়েছি। এখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় এবং ব্যয় হচ্ছে। বর্তমান কমিটি হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা জনমত তৈরির মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় ঐতিহাসিক তীর্থস্হানের সার্থে জেলা প্রশাসক বরাবর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করি। আমাদের অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু বিগত ৩বছর ধরে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বর্তমানে অভিযোগ প্রমাণীত হয়েছে আমরা উক্ত বিষয় বাস্তবায়ন চাই।