শহীদ শাহজাহান কলোনিতে যে ভাবে দিন কাটছে রেজিয়ার

পেটের দায়ে এক মুঠো অন্য সংগ্রহে দিনভর মজুরী বিহীন চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকার্জন করছেন লালমনিরহাটের শহীদ শাহজাহান কলোনির রেজিয়া খাতুন (৫২)। শুধু রেজিয়া একা নয় অসুস্থ স্বামীর আহার সংগ্রহ দায় এখন পড়েছে তার কাঁধে। তার সাথে কথা বলে জানাযায়, স্বামী মোকারম আলী প্রায় দুই বছর ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানাগত হয়ে পড়েছেন। অর্থের অভাবে হচ্ছে না তার চিকিৎসা। বড় ছেলেকে মাষ্টারস পড়ালেও এখন আর হচ্ছেনা। লেখাপড়া বাদ দিয়ে অন্যের দোকানে কর্ম করছে। তার মত আরো অনেকে এভাবে চলছে ওই কলোনিতে। রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ শাহজাহান কলোনি যেয়ে দেখা গেল ওই নারীর এই দৃশ্য। সরকারী খাস জমিতে একটি ঘড় বেঁধে এক মেয়ে ৪ ছেলে নিয়ে তার সংসার। মেয়ের বিয়ে দিলেও অভাব অনাটনের দায় তার ভার বহন করতে হচ্ছে রেজিয়ার। অপর তিন ছেলে কে কোথায় কাজ করে চলছেন জানানেই তেমন তার। মাঝে মধ্যে বাড়ী এসে চলে যান তারা। প্রায় দুই বছর ধরে স্থানীয় আব্দুল মজিদ নামের এক চায়ের দোকান মালিকের কাজ করছেন সে। তার বিনিময় মাত্র একমুঠো অন্য ছাড়া আর কিছুই নেই। তা কোন সময় নিজে না খেয়ে অসুস্থ্য স্বামীকে খাওয়ায়ে অনাহারে কাঁটে তার দিন। স্বামীর বয়স্ক ভাতা করতে স্থানীয় পৌর কমিশনারের নিকট গেলেও জোটেনি স্বামীর বয়স্ক ভাতা। পৌর কমিশনার (৪নং ওয়ার্ড) তুহিন আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তার জানানেই। খোজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন। একাধিকবার লালমনিরহাট পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম (রিন্ট)’র নিকট স্বামীর বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেও পায়নি কোন প্রতিকার। পায়নি সরকারী ভাবে সাহায্য। কান্না কন্ঠে রেজিয়া খাতুন বলেন, বয়স ভার হয়ে যাওয়ায় দিনভর চায়ের দোকানে থালাবাসন মাঝতে মাঝতে হাতে পায়ে তার ঘাঁ হয়ে গেছে। ঔষধ কেনার নেই অর্থ। পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম (রিন্ট)’র নিকট তার শেলফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে তার জানানেই। তবে সে আসলে বিষয়টি আন্তরিকতার সহিত দেখবেন জানান।