চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের বেশকয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন আরও বেশ কিছু রাঘব-বোয়াল বা মন্ত্রী সাংসদরা। ইতোমধ্যে দুদকের হাতে রয়েছে এমন ১০০ জনের তালিকা। যাদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি থেকে বাদ পড়েননি সাংবাদিকরাও। এদের মধ্যে একজন সম্পাদকসহ ক্যাসিনো কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু প্রভাবশালী সাংবাদিক রয়েছেন।
শুধু ক্যাসিনো কেলেংকারি নয়, এক শ্রেণির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এসব করে কোটিপতি বনে গেছেন অনেকে।
চলমান ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে যেসব প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অনেকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম বলেছেন। যারা নিয়মিত ক্যাসিনোর মাসোয়ারা নিতেন এবং ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের পক্ষে রিপোর্টও করতেন। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে কেউ কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বা শীর্ষ কর্মকর্তাকে ফোন করে মোটা অঙ্কের চাঁদাও চেয়েছেন। এ ধরনের কথোপকথনের রেকর্ডও গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে টাকা না পেয়ে রিপোর্ট করার তথ্য-প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিকের ক্যাসিনো খেলার ছবিও তাদের কাছে রয়েছে।
সরকারের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে তাদের সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্যাসিনো-দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষ রেহাই পাবেন না। সে যেই হোক। যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেককে ধরা হবে। এমনকি সাংবাদিকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।