পাবনায় চাকরী দেয়ার নামে ২কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় ভুক্তভোগীরা

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বেড়া উপজেলার প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে চাকরী দেয়া ও পুলিশের মিশনে পাঠানোর নামে ২ কোটির অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে বেড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু সামা মোললার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় পাওয়াদাররা বিভিন্ন ভাবে চেষ্ঠা করে উদ্ধার করতে পারছে না তাদের পাওনা টাকা । ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- কৈটুলা ইউনিয়নের মনাকষা গ্রামের জিললুর রহমান মোললা ১ লক্ষ, মানিক নগর গ্রামের বামেদ পুলিশ ১ লক্ষ, সালাম জোয়াদ্দার ১ লক্ষ বিশ হাজার, মুন্নাফ ১ লক্ষ, জয়নগর মাঠপাড়া গ্রামের সাইফুল মোললা ১ লক্ষ, আল আমিন২ ল ক্ষ, তারাপুওে জনাব আলী ২ লক্ষ, মহররম সাড়ে ৩ লক্ষ, হরিরাম পুর গ্রামের অজেদ ১ লক্ষ বিশ হাজার, পেচাকোলা গ্রামের কোরবান সরদার ৩ লক্ষ আশি হাজার, কৈটুলা গ্রামের সালাম পুলিশ ৩ লক্ষ, জয়নগর গ্রামের আফজাল সরদার ৩ লক্ষ আশি হাজার, মানিক মোললা ১ লক্ষ টাকা চাকুরী পাওয়ার আশায় এবং পুলিশের মিশনে যাওয়ার জন্য আবু সামা কে টাকা দেয়। এছাড়াও কেরামত সরদার, শাহ আলম সরদার, হাজী বাতেন, আব্দুল বারী, রহমান মোললা, বাসেদ পুলিশ, ইশহাক মোললাসহ প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে চাকরী দেয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করছে আবু সামা।
সাংবাদিকদেও কাছে অভিযোগ করে বুক্তভোগীরা জানান- বেড়া উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সামা মোললা কৈটুলা ও চাকলা এলাকার প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার নামে করে ২কোটি টাকার অধিক টাকা নেয়। আবু সামা টাকা নেয়ার সময় প্রতিমন্ত্রী, এমপি, সচিব, ডিসি এসপির সাথে তার সখ্যতার বিষয় ব্যবহার করে। চাকরী প্রত্যাশীদের চাকরী না হওয়ায় তারা সামা মোললার কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা না দিয়ে প্রতরণা করছে। সরকারি দলের লোক হওয়ায় প্রভাব এবং ভয়ভিতি দেখিয়ে পাওনা টাকা ফেরৎ না দেয়ার অভিযোগ করেন পাওনাদাররা। প্রায় ৮/১০ বৎসর হয়ে গেলেও টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেছে পাওনাদাররা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান পাওনাদাররা।
এ ব্যাপারে পাওনাদার সালাম পুলিশ বলেন- আমি ছেলের চাকরীর জন্য ২০১২ সালে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আবু সামা চাকরী দেয় নাই আবার প্রায় ৭ বৎসর হলো টাকাও ফেরৎ দেয় নাই। নানা ভাবে চেষ্টা করেও টাকা আদায় করতে পারছি না।
জয়নগরের আউয়াল সরদারের ছেলে আরিফ বলেন-আবু সামা মোললা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমার ভাগ্নের চাকরী দেয়ার নামে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে ছিল সে টাকা আজ পর্যন্ত ফেরৎ দেয় নাই। আবু সামা প্রায় দুই কোটি টাকা চাকুরী দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নিয়ে ঢাকায় বাড়ী গাড়ী করছে। বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দিয়েও টাকা ফেরৎ পাচ্ছি না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
পুলিশ সদস্য বাসেদের ভাই বলেন- ভাইকে মিশনে পাঠানোর জন্য ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ছিল কিন্তু মিশনে পাঠায় নাই। ১২ বৎসর হয়ে গেল টাকাও ফেরৎ দেয় নাই। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে আবু সামা মোললা বলেন- এসব মিথ্যা কথা। পরে আপনার দেখা করে কথা বলব।এই বলে মুঠোফনের ( ০১৭১৩ ৬৮২১০৯) লাইন কেটে দেয়।