রাশেদ রাজন:
সম্প্রতি সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে চলমান আন্দোলনের নেতা আব্দুল মজিদ অন্তর নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন। কিন্তু জিডি করার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে থানায় ডেকে ডায়েরিতে উল্লিখিত অভিযোগ পাল্টানোর জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। গতকাল সোমবার (১৪.১০.১৯) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আমতলায় প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে গতকাল রবিবার (১৩.১০.১৮) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত নগরীর মতিহার থানায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন অন্তর। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আবরার হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করায় ছাত্রলীগের নেতারাও আমাকে ফেসবুকে হুমকি দিচ্ছে। গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেদিন দুপুরে আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রাখে।
অন্তর বলেন, ‘সন্ধ্যায় জিডি করার পর রাত ১১টার দিকেই পুলিশ আমাকে থানায় ডাকে। রাতের বেলা আমি থানায় যেতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে পুলিশ নিজেই আমাকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ জিডিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ পরিবর্তন করতে বাধ্য করে এবং নতুন করে আরেকটি জিডি করিয়ে নেয়। কিন্তু নতুন জিডির কোনো কপি পুলিশ আমাকে দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে থানায় যাওয়ার পূর্বে বিষয়টি প্রক্টরকে জানাই। কিন্তু প্রক্টর তোমার যা খুশি করো, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না বলে ফোন কেটে দেন।’
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘অন্তর আমাকে ফোন করেছিল, আমি ধরতে পারিনি। পরে আমি ফোন করলে অন্তর জানায় যে সে থানায় আছে।’
তবে আব্দুল মজিদ অন্তরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আব্দুল মজিদ নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে কিংবা অভিযোগ পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে এগুলো সঠিক নয়। তিনি মিথ্যা দাবি করেছেন।’