নাটোরের সিংড়ায় সড়ক পথে আবারো চাঁদাবাজি

নাটোরের সিংড়ায় জেলা ট্রাক,ট্যাংকলরী ,কাভার্ড মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ তহবিলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাসড়কে ভারী যানবাহন থামিয়ে পুলিশের নাকের ডগায় চাঁদাবাজি করছেন কতিপয় নেতারা। ইতিপূর্বে নাটোরের সিংড়া থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহম্মেদ পলকের নির্দেশে সড়কে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক, ট্যাংকলরি, ট্রাক্টর ও
কাভার্ডভ্যান থামিয়ে মালিক শ্রমিক যৌথ তহবিলের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।


বগুড়া জেলার ট্রাকচালক রওশন আলী ও নওগাঁর জেলার ট্রাক চালক আহমদ জানান, প্রথমদিকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হতো। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। চাঁদার টাকা না দিলে যানবাহন রাস্তায় আটকে রাখা হয়।টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সিংড়া শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নামধারী শহিদুল এবং আব্দুস সাত্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী মারপিট করে থাকে ।


দিন-রাত পালাক্রমে ডিউটি করে পরিবহন শ্রমিকরা। চাঁদার টাকায় অনেকে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। অনেকে আবার রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আদায়কারী জানান, দিনরাতে যে টাকা চাঁদা আদায় করা হয়, তার অর্ধেক পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জনকে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। শুধু চাঁদার টাকা তুলেই শ্রমিক ইউনিয়নের সিংড়া শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার অঢেল ধন সম্পদের মালিক ।

এ বিষয়ে নাটোর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সিংড়া শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চাঁদাবাজির কথা অকপটে স্বীকার করে বলেন, সারাদেশেই তো চাঁদা তোলা হচ্ছে, আমরা তুললে দোষ কি?

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা কে ফোনে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। চাঁদাবাজদের ছাড় দেয়া হবে না ।