ডিম পাড়ার মৌসুম হওয়ায় ‘মা’ মাছ সংরক্ষণে বুধবার ( ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এই সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরের ১৫ দিন ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রকৃত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রতিবছর এই সময় নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু এই সময়ের পরেও দেশের ইলিশ অধ্যুষিত নদীগুলোতে ডিমওয়ালা প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। সময়ের তারতম্য হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশের ডিম ছাড়ার এই সময়কে আরও সাতদিন বাড়িয়ে মোট ২২ দিন ডিম ছাড়ার সময় নির্ধারণ করে।
গত রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ উপলক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সময় সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়।
মৎস্য বিভাগের গবেষণা অনুযায়ী ইলিশের মূল উৎপাদন কেন্দ্র ছয়টি অভয়াশ্রম হচ্ছে- উত্তর-পূর্বে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার শাহেরখালী থেকে হাইতকান্দী, দক্ষিণ-পূর্বে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া-গণ্ডমারা পয়েন্ট, উত্তর-পশ্চিমে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমদ্দিন-সৈয়দ আশুলিয়া পয়েন্ট, দক্ষিণ পশ্চিমে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী পয়েন্ট এবং বরিশালের আড়িয়ালখাঁ, নয়াভাঙ্গুনী ও কীর্তনখোলার আংশিক।
ইলিশ অভয়াশ্রমের বেশিরভাগ চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলা সংলগ্ন নদনদীগুলো। তাই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বরিশাল বিভাগ ও চাঁদপুর জেলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর।