রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমার।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পঞ্চম দিনে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে বাংলাদেশকে ‘বিশ্বস্ততার সঙ্গে’ মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, নির্বিঘ্ন এবং সফল প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগের পাশাপাশি এ বিষয়ে সই করা চুক্তির শর্তও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে।
এর আগে একই অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘রাখাইন প্রদেশে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামগ্রিকভাবে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরে যায়নি।’
কিন্তু মি. সোয়ে বলছেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে যে প্রত্যাবাসন চুক্তি সই করেছে সেই চুক্তি অনুযায়ীই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী দেশটির সরকার।
এই চুক্তির যথাযথ প্রয়োগই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের একমাত্র উপায় বলেও চিহ্নিত করেন তিনি। আর তাই দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই ভাষণে।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নতুন কোনো শর্ত বা উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মি. সোয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার ক্রমাগত আহ্বান রয়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না এবং এটি বাস্তবসম্মতও নয়।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন।