সংবাদদাতা :
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রতিনিয়িত একদল চাঁদাবাজ প্রকাশ্যে দিবালোকে “পাবনা জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক শ্রমিক কল্যান কাউন্টার” নাম করনের রশিদ দিয়ে প্রতিটি এম্বুলেন্সের চালকের নিকট হতে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই চাাঁদার টাকা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রান্ত নামের এক যুবকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকা বাসীর ধারনা। অভিযোগ কারীরা জানায় দীর্ঘ দিন যাবৎ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গেটে একদল চাঁদাবাজ পাবনা জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক শ্রমিক কল্যান কাউন্টার নাম করে রশিদ বই ছাপিয়ে জোর করে হাসপাতালে আসা বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্সের চালকদের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে। হাসপাতাল থেকে গুরুতর অসুস্থ্য রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা ঢাকা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে ঐ চাঁদাবাজরা রোগীর লোকজনের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০টাকা জোর করে আদায় করে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান । এছাড়া অন্য জেলা থেকে আসা এ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছ থেকে ২/৩ হাজার টাকা রশিদ কেটে জোর করে চাঁদা আদায় করে বলেও জানা গেছে। রশিদ বইয়ে দুটি মোবাইল নম্বর যথাক্রমে ০১৬৩৫-৪৬১০৮৮ সুমন এবং ০১৭৯১-৯৩৮৯৪১ সোহেল নাম লিখা আছে। পাবনা জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক শ্রমিক কল্যান কাউন্টার নামে প্রতিষ্ঠানের কোন আইনগত ভিত্তি নাই। অথচ প্রতিদিন হাসপাতালে আসা এ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছ হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভূক্তভোগীরা।