সুন্দরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেকরির চর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (১১ মাস) অসুস্থ হলে তাকে উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের শান্তি নিকেতন চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মো: শামছুল আলমের নিকট নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে শিশু কবির মিয়ার শরীরে ট্রাইম্যাক্স ইনজেশন পুশ করে। এর কিছুক্ষণ পর শিশু কবির মিয়ার গুরুতর অসুস্থ হয়। পরে তাকে ওই চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরামর্শ দেয়। শিশুর অভিভাবকরা দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে। থানার এসআই মোতালেব মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, বিধি মোতাবেক একজন পল্লী চিকিৎসক শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্রাইম্যাক্স ইনজেশন প্রদানের পরামর্শ দিতে পারে না। এমনকি ট্রাইম্যাক্স ইনজেশন শিশুর শরীরে পুশ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, পল্লী চিকিৎসক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শতকরা ৯০ ভাগ ভর্তি হওয়া অসুস্থ শিশু রোগি পল্লী চিকিৎসক শামছুল আলমের শান্তি নিকেতন চিকিৎসালয় থেকে ফেরত আসা। শামছুল আলম নিজেকে সার্টিফিকেট ইন প্যারামেডিকস্ (রাজশাহী), মেডিকেল প্রাকটিনার, নবজাতক মা, শিশু ও কিশোর রোগ চিকিৎসক (গভ: রেজিঃ নং-১০৯৪৩০) দাবি করে। তিনি বলেন, শিশু কবির মিয়াকে নিয়ে দুপুরে তার বাবা সাজু মিয়া আমার চিকিৎসালয় আসে। আমি তাকে ট্রাইম্যাক্স ইনজেশন পুশ করি এবং লেবুলাইজারের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ওষুধ প্রয়োগ করি। এর কিছুক্ষণ পর আমার চিকিৎসালয় থেকে তারা চলে যায়। তিনি বলেন, হায়াত-মওউত আল্লাহ হাতে। আমি রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করেছি। তবে ট্রাইম্যাক্স ইনজেশন শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমি প্রয়োগ করতে পারব কি না তা আমার জানা নাই। শিশু কবিরের পিতা সাজু মিয়া জানান, ইনজেশন দেয়ার পরপরই আমার বাচ্চাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। শিশু বাচ্চা নিয়ে মামলা করবো কি না এখন ভাবিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, মৃত্যু শিশুসহ তার পিতা আমার নিকট অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকারের নিকট মোবাইল-ফোনে বিষয়টি জেনেছি এবং শিশুর পিতাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।