রাজহংসের ককপিটে প্রধানমন্ত্রী

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করার পর বিমানটির ককপিটে কিছু সময়ের জন্য বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর উড়োজাহাজটি পরিদর্শন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের যে অবস্থা ছিল সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা যখন বাহিরে যেতাম বা বিশেষ করে লন্ডনে বা আমেরিকায় যাওয়া হতো তখন বিমান ব্যবহার করতাম। তখন বিমানের যে ঝরঝরে অবস্থা ছিল, আগে প্লেনে উঠলে পানি পড়ত, টিস্যু দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করা হতো, কোনো এন্টারটেইমেন্টের ব্যবস্থাই ছিল না। মাঝে মাঝে আমি ককপিটে যেতাম, কথা বলতাম। কারণ আমি ভাবতাম এরকম একটা ঝরঝরে অবস্থায় প্লেন কীভাবে আমাদের পাইলটরা চালায়। আমি বলতাম যে, আমাদের পাইলটদের বিশ্বসেরা পাইলট হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত এই ধরনের একটা ঝরঝরে প্লেন চালানোর জন্য।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের দশটি প্লেন চলে এসেছে। অরুণ আলো, গাঙচিল ও পালকী, হংসবলাকা, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, আকাশবীণা, ময়ূরপঙ্খী ও রাজহংস। এসব নামকরণ আমি করেছি। আমরা চেয়েছি যে একটা সুন্দর নামকরণ হোক।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিমানের জন্য আরও দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শোনেছি যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং আরও দুটি বিমান বিক্রি করবে। তাদের কাছে ওয়ার্ডার দিয়ে নেয়নি। কাজেই আমরা সেই যুযোগটা নেব।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বোইং ৭৮৭/৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ (বিজি-৫০০৪) উড়োজাহাজটি দেশে এসে পৌঁছায়। এটি জাতীয় পতাকাবাহী ১৬তম বিমান। বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিমান কারখানা থেকে ওইদিনই বিকেলে সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।