নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত আলম হোসেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্য প্রদান করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ৯৯৯ থেকে সদর থানায় সংবাদ আসে যে, হালসায় একজন কলেজ ছাত্রীকে হত্যার পরেও পুলিশকে না জানিয়ে তার দাফনের প্রস্তুতি চলছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হয় যে, ঘটনাটি প্রকৃতই হত্যাকান্ড। পরে তদন্তকালে নিহত জেসমিনের শয়নঘরের চৌকির নীচ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে মোবাইল ফোনটির কল লিস্ট দেখে একটি নম্বরের প্রতি সন্দেহ হলে সেই নম্বরধারীর অনুসন্ধান করে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তাকে আটক করে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হালসা মাহেষা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলম হোসেনের সাথে হালসা গ্রামের জমসেদ আলীর পালিত মেয়ে জেসমিন আক্তারের কলেজ যাওয়ার পথে পরিচয় ঘটে। আলম জেসমিনের কাছে তার মোবাইল নম্বর চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আলম হোসেন জেসমিনের কলেজে গিয়ে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা শুরু করে। এক পর্যায়ে আলম জেসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে জেসমিন তা’ প্রত্যাখ্যান করে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় আলম একটি মোবাইল ফোন ও সিম কিনে জেসমিনকে দিয়ে সেই নম্বরে আবার যোগাযোগ শুরু করে। এর এক পর্যায়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টা দিকে জেসমিনের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। জেসমিন দরজা খুললে আলম ঘরে ঢুকে আবারও বিয়ের প্রস্তাব দিলে জেসমিন এক বছর পর বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু আলম তাতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এই কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আলম হোসেন জেসমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।