মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে মাতারকাপন এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারকে তার জম্মভুমি থেকে তাড়িয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার পায়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পরিবারটি ভয়ে গ্রাম ছাড়া ও পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। অসহায় পরিবারটি এখন ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকল মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৭ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথাছাড়া দিয়ে উটা মানে সম্প্রীতি নষ্ট হওয়া। মুক্তিযুদ্বের চেতনাকে কলুষিত করা। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে এমন ঔদ্বৈত্যপূর্ণ আচরন কারোরই কাম্য নয়। এ যেন সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে একটা সংঘবদ্ধ গোষ্টির কাজ নয়তো ?। হিন্দুরা এদেশের, জম্মভুমি যাদের তাদের এদেশ ছাড়তে হুমকি- ধমকি কিংবা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা, এ কেমন সভ্যতার পরিচয় ?। বাচঁতে চায় নিরীহ গরীব হিন্দুরা। থাকতে চায় আমৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশে। ভুক্তভোগী অজিত মজুমদার, সিতি রাণী মালাকার, জয়ন্তি মালাকার, সিপা মালাকার, ববিতা মালাকার, খোকন মালাকার, স্বপ্না মালাকার, স্বপ্না রাণী মালাকার(২), মায়া রাণী মালাকারসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন জানান- একই এালাকার কাসেম মিয়া, আকবর মিয়া, আলমগীর মিয়াগংরা মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন। আমাদেরকে ভারতে চলে যাবার জন্য একাধিকবার হুমকি দিচ্ছেন। তাদের সাথে আদালতে একাধিক মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ৩০৪/১০ইং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ২০৯/১০ইং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ২১৩/১০ইং বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের দায়েরকৃত মামলার যতায়ত সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এবং উক্ত মামলায় তাদের কারাদন্ড অথবা কঠোর শাস্তি হতে পারে এমন আশংকায় আমাদের বিরোদ্ধে পুনরায় ষড়যন্ত চালাচ্ছেন। সর্বশেষ পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের পরিবারের লোকজনদের একটি ল্যাপটপ চুরির মামলা (নং- ০৫, তারিখ ঃ -০৩/০৯/২০১৯ইং) দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।