আইপিএল থেকে বাদ পড়তে পারেন, আর এই ভয়েই নাকি পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়ালেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এমনই দাবি করলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী।
অহেতুক প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যেতে রাজি হননি লসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দিমুথ করুনারত্নে-সহ শ্রীলঙ্কার প্রথমসারির ১০ জন ক্রিকেটার। ২০০৯ সালে লাহোরে গদ্দাফি স্টেডিয়ামের সামনে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি লঙ্কান ক্রিকেটাররা।
অতীতের ভয়াবহ সেই স্মৃতি এখনও টাটকা বলেই মালিঙ্গারা পাকিস্তানের ভূ-খণ্ডে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে জীবন বাজি রাখতে হবে রাজি হননি।
পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর দাবি, পাকিস্তানে গেলে আইপিএল থেকে বাদ পড়তে হবে, ভারতের এমন হুমকিই নাকি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের বেঁকে বসার কারণ।
তিনি বলেন, আমাকে এক স্পোর্টস কমেন্টেটর বলেছে, ভারত শ্রীলঙ্কার প্লেয়ারদের হুমকি দিয়েছে, তারা যেন পাক সফরে না যায়। গেলে আইপিএল থেকে বাদ পড়তে পারে। কিন্তু এই ধরণের চক্রান্ত অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের। খেলার মাঠে এই মনোভাব অত্যন্ন নিম্নমানের। নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছেন এহসান মানিরা। মালিঙ্গারা বেঁকে বসায় পাকিস্তানের সেই স্বপ্ন এখন অনেকটাই দুঃস্বপ্ন। নিতান্ত সিরিজ আয়োজন করা গেলেও পুনরায় কার্যত ক্লাব স্তরের দলের সঙ্গেই সরফরাজদের মাঠে নামতে হবে।
পাকিস্তানের মাটিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ হওয়ার কথা ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। তিনটি ওয়ানডে ছাড়াও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের। কিন্তু এক দশক আগের সেই ভহাবয় স্মৃতি আজও টাটকা লঙ্কান ক্রিকেটারদের মনে। ২০০৯ সালে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে জঙ্গি হামলার পর থেকে কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশ পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায়নি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে হোম ম্যাচের আয়োজন করে পিসিবি।