পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে গোপন খাস কামরার ঘটনায় চরম আলোচনা সমালোচনার পর এবার ওই অনুষদের ডিন ড. মুশফিকুর রহমানের অপসারণ দাবী করেছেন বিভাগটির সকল শিক্ষক। গত বুধবার একাডেমিক কমিটির জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্তের পর শনিবার রেজিষ্ট্রার দপ্তরে সিদ্ধান্তের কপি প্রেরন করেন তারা। ইতিপূর্বে অপসারণ দাবী করা শিক্ষকের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের।
পাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অফিস কক্ষে একাডেমিক কমিটির জরুরী সভায় সভাপত্বি করেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আমিরুল ইসলাম।
খাস কামরার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হলে তারা এই জরুরী সভার আহবান করেন। উপস্থিত সকল শিক্ষক সর্ব সম্মতিতে সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলেও উল্লেখ করেন। তারা প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান।
অপরদিকে ওই সভায় ২য় সিদ্ধান্তে তারা উল্লেখ করেছেন, পাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের এরুপ চরম দুঃসময় ও ক্রান্তিকালে বিভাগের একমাত্র অধ্যাপক, যিনি একাডেমিক অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত। যার নিকট হতে বিভাগ ও শিক্ষকমন্ডলী সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও বিজ্ঞ পরামর্শ প্রত্যঅশা করে। তিনি আজকের মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনাটি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়ে বিভাগটিকে চরম ভাবে হতাশ ও দুঃখিত করেছেন। সুতরাং তারা খাস কামরার বিষয়টির তথ্য ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে ড. মুশফিকুর রহমান প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে জড়িত বলেও দাবী করেন।
অপরদিকে তার অসদাচরন, দাম্ভিকতা, বিভাগে অনুপস্থিতি ও অসহযোগিতা বিভাগটির সকল শিক্ষকককে অসন্তÍুষ্ট ও মন:ক্ষুন্ন করেছে। ফলে ওই বিভাগের সকল শিক্ষক মনে করেন বিসনেস ষ্টাডিজ অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতা ও নৈতিক অধিকার নেই। এমতাবস্থায় ওই অনুষদের ডিনের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হলো। পরে সিদ্ধান্তটির কপি রেজিষ্ট্রার দপ্তরে প্রেরণ করেন।
পাবিপ্রবির অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার বিজন কুমরা ভ্রহ্ম ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের একটি সিদ্ধান্তের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বিসনেজ ষ্টাডিজ অনষদের ডিন ড.মুশফিকুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন অসুস্থ ছিলাম বলেই তারা আমার বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটাচ্ছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্ প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন সেটাই হবে। শিক্ষকরা কি চাইলেন আর না চাইলেন তাতে আমার যায় আসে না। তবে তারা আমার সাথে এমন ব্যবহার না করলেও পারতেন।
পাবিপ্রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোন বিভাগের শিক্ষকরা চাইলেই তো আর ডিন পদ চলে যাবে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম নীতি মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে। ডিন পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে শিক্ষকদের এমন অধিকার নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
#