ইয়ানূর রহমান : যশোর শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দেবে যাচ্ছে। পুনঃনির্মাণের পর বারবার সংস্কারেও মণিহার থেকে পালবাড়ি, মণিহার থেকে মুড়লী, জিলা স্কুল থেকে চাঁচড়া সড়ক রক্ষা করা যাচ্ছে না। দেবে যেয়ে সড়কের জায়গায় জায়গায় এবড়ো-থেবড়ো অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ওইসব স্থানে যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করায় এ অবস্থা হচ্ছে।
মণিহার-পালবাড়ি ও মণিহার মুড়লী সড়ক ২০১৬ সালে পুননির্মিত হয়। তিন বছরের মধ্যে দুদফা সংস্কারও হয়েছে রাস্তা দুটি। এরপরেও বাবলাতলা ব্রিজ, কাঁঠালতলা, বারান্দিপাড়া ব্রিজ, মনিরউদ্দিন পাম্প, মণিহার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা ক্রমান্বয়ে ডেবে যাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মণিহার মুড়লী সড়কের।
এ সড়কের জায়গায় জায়গায় বসে যেয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুপাশ থেকে বসে যাওয়ায় মাঝে উঁচু হয়ে বিপদ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। অবশ্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ তেরুলার দিয়ে উঁচু ঢিবি সমান করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এরপরেও ডেবে যাওয়া অংশ আগের মতই রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে সড়কগুলো ২৫ টন থেকে ৩০ টন ওজনের
যানবাহন চলাচলের উপযোগী। অথচ এসব সড়ক দিয়ে ৪০-৪৫ টনের বেশি ওজনের যানবাহন
হরহামেশা চলাচল করছে।
যশোর জিলা স্কুল থেকে চাঁচড়া সড়কটির চাঁচড়া ফাঁড়ির সামনের অংশে ইট বিছিয়ে রাখার পরেও বর্ষা হলেই পানির নিচে তলিয়ে থাকছে।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশীদ বাচ্চু জানান, মুড়লী থেকে মণিহারে পরিবহন চালিয়ে আসতে সময় লাগতো ১০ মিনিট। কিন্তু এ রাস্তাটি এতই খারাপ যে সময় লাগছে দ্বিগুণের বেশি। একটু অসাবধান হলেই যানবহন উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যশোর খাজুরা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান জানান, যশোর-মাগুরা যাওয়ার হাইওয়ের মনোহরপুর, ইছালিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি নিয়মিত পরিবহনে ডেমারেজ যাচেছ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রাস্তা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি টনের পরিবহন চলাচল করছে। যার কারণে সড়কগুলোর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শিগগির সংস্কার করা হবে