মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানসহ ৪জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘঠনাটি ঘঠেছে গত ২৭ আগষ্ট সন্ধায় প্রতিপক্ষ ইসমাইল গংদের বাড়ির সামনে। হামলাকারীরা মুক্তিযুদ্ধাকে রক্তাক্ত করে বাড়ীর পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় হামলাকারীদের হামলায় আব্দুল খালিক(৫০) বিলাল হোসেন(৩৫)আবু সুফিয়ান(২২) নামক আরো ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আহত মুক্তিযুদ্ধাসহ অন্যান্যরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এবং মামলার প্রস্তুুিত চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান বলেন- গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল মিয়া গংরা মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে প্রাণে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করি। নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে গতকাল ঘঠনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় আমি পুলিশকে একাধিকবার আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি জানালে পুলিশ আমাকে নির্ভয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। আমি পুলিশের কথায় বিশ্বাস করে বাড়ীতে যাওয়ার উদ্যাশে রওনা হওয়া মাত্র ইসমাইল মিয়া এর নেতৃত্বে রুহুল আমিন, আল-আমিন, রুস্তম, মিজান, চেরাগগংরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রনিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ উক্ত হামলাকারীদের গ্রেফতার করেনি। উল্লেখ- অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সোবহানের ব্যক্তিমালিকানা জায়গার জমি জবরদখল করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “জায়গা আছে ঘর নাই” প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ করেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল মিয়া গংরা। এ ভুক্তভোগী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৪ঠা ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পত্র দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক। কিন্তু পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নামে সময়ক্ষেপণ করায় যোগাযোগীমূলে ইসমাইল মিয়ার নামে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। প্রতিকার না পেয়ে গত ৩ মার্চ সিলেটস্থ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড বরাবরে লিখিত আবেদন করলে বোর্ডের সচিব মেজর মো. রকিবুল হাসান তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৌলভীবাজার আইন শৃংখলা কমিঠির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক বরাবর গত ৪ মার্চ সুবিচার নিশ্চিতকল্পে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। চিঠি আদান-প্রদান আর তদন্তের নামে কেটে যায় অনেকদিন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি নিয়ে বিরুদ চলছে।