মনরে সুখই আসল সুখ বা অপরকে সুখী করানোই প্রকৃত সুখ

নজরুল ইসলাম তোফা: মানুষরে এই জগত জীবন অতি সংক্ষপ্তি জীবন। তাদরে আছে দুঃখ-কষ্ট, সুখ-শান্ত,ি আশা-ভরসা, সফলতা বা বফিলতার জীবন। এরই মধ্যে জীবনরে নানা অপর্ূূণতাকে নয়িইে মানুষ অভযিোগ কংিবা ক্ষোভও প্রকাশ করে থাক।ে তারা জীবন যাপনরে অংশে যনে অনন্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা নয়িে আফসোস কর।ে তারা কোনোদনি তা পরপর্িূণ করতে পারে না বা কোনো দনিই পরতিৃপ্ত হতে পারে না। কউে কউে খুব কঠোর পরশ্রিম করে সফল হলে বলতইে হয়, তা সৃষ্টর্কিতারই নয়িামত। আসলে সুখ-শান্তরি প্রত্যাশা হলো- মানুষদরে সহজাত প্রবণতার একে বারইে ভন্নি দকি। তাকে জোর জবরদস্তি করে কখনোই আদায় করা যায় না। ইসলাম চয়েছেে দহে এবং মনরে প্রয়োজন সমভাবে পূরণ করতে পারলে মানুষ পতেে পারে সুখরে সন্ধান। তার জন্য মানুষরে বজ্ঞিতার আলোকইে পরশ্রিম করা প্রয়োজন। সমগ্র পৃথবিীতে এমন কাউকইে পাওয়া যাবে না য,ে তারা সুখী হতে চায় না। আসলে যার যা চন্তিা চতেনাতইে যেেন সুখী হতে চায়। অনকেভোবে র্অথকড়,ি শক্ষিা-দীক্ষা, ববিাহ, সন্তান-সন্তত,ি পরবিার, সামাজকি বা র্অথনতৈকি প্রতপিত্তি মানুষকে অনকে ‘সুখী’ করতে পার।ে সমগ্র বশ্বিরে বভিন্নি দশেে জরপি করে দখো গছে,ে এ সকল র্অজন আসলে মানব জাতকিে সুখী করতে পারে না। লাখ লাখ মানুষদরে জন্যইে প্রকৃত সুখ যনে হয় যায় সোনার হরণি।

সারাদুনয়িা খুব সুন্দর এবং তাকে উপভোগ বা সুখ-শাস্তি জন্য মানুষরে আছে স্বাধীনতা। এই দুনয়িাকে যমেন পয়েছেে মানুষ। তমেনি সখোনইে অনকে সুখ লাভরে প্রকৃৃত পন্থাকে সৃষ্টি করছেে মহান সৃষ্টি র্কতা। এই মানুষদরে আনন্দ, ভোগ-বলিাস অথবা সৌর্ন্দয উপভোগে যনে আল্লাহ তায়া’লার পক্ষ থকেে আছে প্রতদিান। তার কাছে এ দুনয়িা আখরোতরে সাথইে সম্পৃক্ত, দহৈকি ও শারীরকি আনন্দ উপভোগ করা অন্তররে আনন্দরে সাথইে যনে যুক্ত। তাই দুনয়িাতে ভোগরে মাধ্যমইে র্অজতি সুখ কংিবা শান্তি মানুষরে অভ্যন্তরীণ পরতিুষ্টি কংিবা প্রশান্তরি সাথইে সম্পৃক্ত থাক।ে আবার যারা মনে করে যে ‘সুখ’ হয়তো গাড়,ি বাড়,ি অলঙ্কার, কাপড় চোপড় কংিবা ধন-দৌলতরে মধ্যে আছ।ে কন্তিু এই সব প্রাপ্তি মানুষকে সাময়কি ভাবে কছিুটা সুখ দতিে পারলওে যনে প্রকৃত পক্ষইে স্থায়ী সুখ প্রাপ্তরি জন্য এধরণরে বহু চাহদিাগুলোও বড় ভূমকিা পালন করে না। এমন কথাগুলো সমাজ বজ্ঞিানী, মনোবজ্ঞিানী বা চকিৎিসা বজ্ঞিানীরাই মনে করে থাক।ে মনোবজ্ঞিানীরা বলনে, সুখ বষৈয়কি বা জাগতকি কোনো ব্যাপার নয়। সুখটা হল বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বকি বা আধ্যাত্মকি ব্যাপার। সুখপ্রাপ্তরি জন্য আসলইে কোনো ‘র্শটকাট পদ্ধতি কংিবা রাস্তা’ নইে। পৃথবিীর সবচয়েে সুখী মানুষ দনিরে চব্বশি ঘণ্টাতে সুখী হসিবেে থাকে না। তাদরে জীবনে যনে- হতাশা, দুঃখ-কষ্ট আছ।ে র্পাথক্য হলো সুখী মানুষরা হতাশা, দুঃখ-কষ্টকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পার।ে অন্যরা তা পারনে না। মানব শরীরটা শুধুই রক্ত-মাংসে গড়া কোনো জড়বস্তু নয়। আছে আত্মা যা কনিা শরীররে অবচ্ছিদ্যে অংশ। আবগে-অনুভূতইি শরীররে ওপর প্রচণ্ড প্রভাব ফলে।ে বস্তু জগতে কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা, মোহ, মাৎর্সয, র্ঈষা ও প্রতহিংিসা আমাদরে দুঃখ, কষ্ট, অশান্ত,ি অসুখ এবং ধ্বংসরে মূলকারণ। মানুষ তার সততা, সৎ র্কম বা অটল সৃষ্টর্কিতা প্রীতি দ্বারা উল্লখিতি বদগুণ থকেে নজিকে দূরে রখেে এই র্পাথবি জীবনে পরম র্স্বগসুখ লাভ করতে পার।ে

একসময়ে মনে হতো সুখরে চয়েে শান্তি ভালো। সইে সময়ইে মানুষ, সুখ আর শান্তকিে কখনো এক করে দখেতে চায়ন।ি কন্তিু এখন মনে হয় শান্তি ছাড়া সুখ ভোগ সম্ভব নয়। আর সুখ ছাড়া জীবনে যনে ‘শান্ত’ি আসতইে পারে না। “সুখ আর শান্ত”ি দুটোই আলাদা শব্দ। এদরে র্অথরে মধ্যে যনে বস্তির র্পাথক্য আছ।ে কন্তিু বাস্তবে ”সুখ বা শান্ত”ি চলে যনে একে অপররে সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাব।ে সুখ শব্দটি মানুষরে দহেনর্ভির। আর শান্তি শব্দটি সে মানুষরে মননর্ভির হয়ে থাক।ে সুতরাং বাস্তবে শরীররে অস্তত্বিকে বাদ দয়ি-ে মনরে অস্তত্বিরে কথা ভাবা খুবই কঠনি। সারাজীবন মানুুষ বাঁচে নজি শরীরকে নয়ি।ে আবার মৃত্যুতইে শরীররে আর কোনো প্রয়োজন থাকে না, ফুরায় সুখ-দুঃখরে অনুভব। মনো বজ্ঞিানীরা বল,ে সুখ হলো জনেটেকি বা বংশানুগতসিম্বন্ধীয়। আবার বশেকছিু বজ্ঞিানীরা তাদরে বজ্ঞৈানকি আবষ্কিাররে সূত্র ধরে বল,ে তারা মস্তষ্কিরে এমন কছিু অংশ নর্ণিয় করছে,ে আর যনে যখোন থকেইে ‘সুখ নঃিসৃত’ হয়। জনপ্রয়ি স্কাউটরে জনক রর্বাটস্টফিনেসন স্মথির্লড় ব্যাডনে পাওয়লে অব গলিওয়লে বলছেনে– “সুখ লাভরে প্রকৃত পন্থা হলো অপরকে সুখী করা”। এমন সুন্দর পৃথবিীটাকে যমেন পয়েছেো তারচয়েে একটু শ্রষ্ঠেতর কছিু রখেে যাওয়ার চষ্টোও করো, তোমাদরে মৃত্যুর পালা যখন আসবে তখন সানন্দে এই অনুভুতি নয়িে ‘মৃত্য বরন’ করতে পারব।ে তুমি অন্তত জীবন নষ্ট করনি কংিবা সাধ্য মতই সদ্ব্যবহার করছে। তাই এমন ভাবইে সুখে বাঁচতে ও সুখে মরতে প্রস্তুত থাকা প্রতটিি মানুষরেই উচতি। আর হংিস্রতাকে পরত্যিাগ করতে না পারলে মানব জাতি কখনোই পতেে পারে না ‘শান্ত’ি। মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতইে দুঃখরে বড় কারণ।

র্হার্ভাডরে এক মনো বজ্ঞিানী ড্যান গলির্বাট বলছে,ে নজিস্ব সুখ নজিকেইে সংশ্লষেণ করতে হব।ে শরীরে মনস্তাত্ত্বকি একটি ইম্মউিন সস্টিমে রয়ছেে যা কনিা তোমার পারপর্িাশ্বকিতা বা তোমার বশ্বিকইে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করার মাধ্যমে তোমাকে সুখী করে তুলব।ে নতুন নতুন কাপড়-চোপড় ক্রয় করা কংিবা ‘লটাররি অগাধ টাকা’ র্অজনে তোমার জীবনরে সব দুঃখ দূর করে অনাবলি আনন্দ ও সুখ বয়ে আনব,ে এই ধরনরে কল্পনা মানুষরে চন্তিা শক্তকিে ভুল পথে পরচিালতি কর।ে ‘মশিগিানরে হোপ’ কলজেরে এক সাইকোলজি বভিাগরে প্রফসের ডভেডি মায়াররেই উক্তমিত,ে জনেটেকি বা বংশানুগতি সম্বন্ধীয় তত্ত্বরে ভত্তিতি-ে যে যাই বলে থাকুক না কনে, মানুষরে সুখ অনকোংশইে ‘নজিস্ব নয়িন্ত্রণাধীন একটি অনুভূত’ি।এ ‘সুখ’ অনকেটা মানুষরে কোলস্টেরেল লভেলেরে মতো, যা জনেটেক্যিালি প্রভাবান্বতি, আবার বশেরি ভাগ ক্ষত্রেে যনে মানুষরে আচার-আচরণ বা লাইফ স্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নয়িন্ত্রতি। জানা দরকার,
সুখরে বপিরীত শব্দটা হলো অসুখ। যে সুখী নয় সে সুস্থও নয়। অসুখ হতে পারে শারীরকি বা মানসকি। শারীরকি অসুস্থতায় ভুগলওে মানুষরে জীবনে ‘সুখ’ থাকে না। তবুও ওষুধ প্রয়োগরে মাধ্যমইে- শারীরকি অসুস্থতা বহুলাংশইে সারানো যায়। কন্তিু মানুষ যদি মানসকি অসুস্থতার শকিার হয়, তখন জীবনে নমেে আসে বর্পিযয়। কারণ, মানসকি রোগ যনে পৃথবিীর সবচয়েে জটলি রোগ। সুতরাং সুখকে মাঝে মাঝইে এক ধরনরে র্স্বাথকি উদ্দশ্যে মনে করা হয়। মানুষরে কী আছ-ে তার ওপর সুখ নর্ভির করে না। মানুষ কী ভাবে তার ওপর সর্ম্পূণ ভাবে যনে সুখ নর্ভির কর।ে এককথায় যদি বলা হয় তাহল,ে যার যা আছে এবং যে অবস্থায় আছ,ে তার জন্যইে মানুষকে শোকরয়িা জানয়িে যদি দনি শুরু করা হয়- তাতে সুখ আসব।ে মানুষ যখন যা ভাবছে তার ওপর ভত্তিি করইে- তার ভবষ্যিতরে সুখ আসতে পার।ে সুতরাং কাজ-র্কম ও চন্তিা ধারায় পজটিভি অ্যাপ্রোচ নয়িে জীবনটা শুরু করলে সুফল আসবে এবং সুখী হব।ে আত্মবশ্বিাসে বশ্বিাসী, জ্ঞানী-গুণী, র্মযাদাবান, হৃদয়বান এবং সৎ মানুষ সাধারণত সব সময় সুখী হয়। যারা শুধু নতিে চায়, দতিে জানে না বা চায় না, তারা সুখী হয় না।

মহান সৃষ্টি র্কতার ওপর যার বশ্বিাস যত দৃঢ় হয়, এই বস্তু জগতে তনিইি তত সুখী। ‘সুস্থ, সুন্দর এবং সুখী’ জীবনযাপনরে জন্যইে প্রকৃততিে হাজারও নয়িামত রয়ছে।ে জ্ঞান-বজ্ঞিান ও প্রযুক্তি গত উন্নয়নরে ফলে বা বশ্বিাস প্রক্রয়িার প্রভাবইে যনে ‘প্রাকৃতকি জীবন’ থকেে সরে এসে কৃত্রমি, অসুস্থ, ক্ষতকির বা অসুখী জীবনধারণরে প্রতইি ঝুঁকে পড়ছে মানুষ। প্রাকৃতকি জীবনযাত্রা থকেে বচ্ছিন্নি হয়ে যাওয়ার কারণে যনে বশ্বিজুড়ইে লাখো-কোটি মানুষরে শরীর, মন কংিবা আত্মার ওপর প্রচণ্ড নতেবিাচক প্রভাব পড়ছ।ে তাই প্রাকৃতকি উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমইে- মানুষরা অতি সহজে সুস্থ, সুন্দর ও সুখী জীবনরে অধকিারী হতে পার।ে জানা যায় যে পৃথবিীর র্শীষস্থানীয় ধনীর মধ্যে অন্যতম হল যুক্তরাষ্ট্ররে ওয়ারনে বাফটে। তাঁর কাজ-র্কম, টাকা-পয়সা, সুখ-শান্তি বা জীবনর্দশনরে অনকে গল্প প্রচলতি থাকলওে কছিুটা জানি কছিুটা জানি না। ‘ওয়ারনে বাফটে’ কোনো সময়ে ব্যক্তগিত বমিানে চড়নে।ি তনিইি বশ্বিরে র্সব বৃহৎ মালকিানার একটি জটে কোম্পানরি মালকি। তনিি পঞ্চাশ বছর আগে কনো ৩ কক্ষ বশিষ্টি একটি বাড়তিইে বসবাস কর।ে আর তনিি সইে বাসায় অনলাইন ব্রজি খলেে অপরসিীম ‘আনন্দ লাভ ও সুখ’ ভোগ করে থাকনে। অবশ্বিাস্য শোনালওে এমন কথা গুলো সত্যি কংিবা অনুপ্ররেণাদায়ক। সারা বশ্বিরে বশিাল ধন সম্পদরে মালকি পরম সুখী ওয়ারনে বাফটে মনে করনে, ধন-দৌলত নয়, মনরে সুখই আসল সুখ কংিবা অন্যকে সুখী করবার মধ্যওে “প্রকৃত সুখ” রয়ছে।ে

লখেকঃ
নজরুল ইসলাম তোফা, টভিি ও মঞ্চ অভনিতো, চত্রিশল্পিী, সাংবাদকি, কলামষ্টি এবং প্রভাষক।