মো. আবেদ আলী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জে ১১ আগস্ট সকালে ভ্রম্যমান আদালত কর্তৃক সিটি ক্লিনিকে সিলগালা করা হয়েছে, মালিক নুর আলম (স্বামী) ১ বছর কারাদন্ড ও সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স ফাহিমা আক্তার (স্ত্রী) কাছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মোঃ ইয়ামিন হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বীরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বীরগঞ্জ-পীরগঞ্জ রোডস্থ ডাক্তার বিহীন নুর ল্যাব এন্ড সিটি ক্লিনিক নার্সিং হোম এ আয়া দিয়ে বাচ্চা প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায়
ও নার্সের বাড়িতে হাসপাতালের বিপুল সংখ্যক সরকারী ঔষুধ রাখার অপরাধে মালিক নুর আলম (স্বামী)’র ১ বছর কারাদন্ড ও হাসপাতালের সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স ফাহিমা আক্তার (স্ত্রী) কাছে বিপুল সংখ্যক সরকারী ঔষুধ রাখার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (সাবেক) ও কৃষক লীগের সভাপতি শিবলী সাদিক অভিযোগ করে জানান, তার উকিল মেয়ে ১১ আগস্ট ভোরে পৌরসভার মাকড়াই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম প্রসব ব্যথা নিয়ে নুর ল্যাব এন্ড সিটি (ক্লিনিক) নার্সিং হোম এ ভর্তি হয়। আয়া দিয়ে প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মোঃ ইয়ামিন হোসেনের কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নার্সের বাড়ী থেকে হাসপাতালের বিপুল সংখ্যক সরকারী ঔষুধ উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ক্লিনিক মালিক নুর আলম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
সিনিয়ার স্টাফ নার্স ফাহিমা আক্তারের বাড়ীতে বিপুল সংখ্যক হাসপাতালের সরকারী ঔষুধ রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সিটি ক্লিনিকের মালিক নুর আলম ও সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স ফাহিমা আক্তার দু’জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মোঃ ইয়ামিন হোসেন উল্লেখিত রায় প্রদান করেন। একই সময়ে অব্যবস্থাপনা ও নোংরা পরিবেশ সৃষ্টির অপরাধে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়।