বিদেশি তেলের আরেকটি ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। ট্যাংকারে অবস্থানরত সাতজন নাবিককেও আটক করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তাদের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগর থেকে ট্যাংকারটি আটক করেছে। তাদের অভিযোগ, ওই ট্যাংকারে করে কিছু আরব দেশে তেল পাচার করা হচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ট্যাংকারটিতে সাত লাখ লিটার জ্বালানী ছিল। খবর বিবিসির।
তবে ট্যাংকারটি কোন দেশের এবং নাবিকরা কোন দেশের নাগরিক সেসব বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ইরানি বার্তা সংস্থা বলছে, উপসাগরীয় ফারসি দ্বীপের কাছ থেকে ট্যাংকারটি আটক করা হয় বুধবার। তারপর এটিকে বুশেহের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান ও ব্রিটেনের দুটো ট্যাংকার একে অপরের হাতে আটক হওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুলাই ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ একটি ট্যাংকার আটক করে নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, মাছ ধরার একটি নৌকার সাথে সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ভঙ্গ করার কারণে ট্যাংকারটিকে জব্দ করা হয়েছে। সেসময় ব্রিটেনের একটি রণতরীও ছিল ট্যাংকারটির পেছনে। কিন্তু সেটি ইরানি সৈন্যদের হাত থেকে ট্যাংকারটিকে রক্ষা করতে পারেনি।
তারও আগে জিব্রাল্টারের কাছে ইরানি একটি ট্যাংকার আটক করে ব্রিটেন। অভিযোগ করা হয় যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরান ওই ট্যাংকারে করে সিরিয়ায় তেল নিয়ে যাচ্ছিল। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রও অভিযোগ করেছে আরো দুটো ট্যাংকারে ইরানি সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন বলছে, গত মে ও জুন মাসে বিস্ফোরক দিয়ে দুটো ট্যাংকারে চালানো হামলায় সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব অভিযোগ তেহরান সবসময়ই অস্বীকার করেছে।
একই সাথে ইরান হরমুজ প্রণালীর আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোনও গুলি করে নামিয়েছে। ইরানের সাথে সাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওয়াশিংটন ইরানের তেল খাতের ওপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যেই পাল্টাপাল্টি এসব ট্যাংকার আটকের ঘটনা ঘটে।