ভাবির পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় তার প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে দেবর আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার বনগ্রাম হাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম ফিরোজ শেখ। তিনি সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাটি হাটখোলা গ্রামের আজগার শেখের ছেলে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফিরোজ।অভিযুক্ত প্রেমিক অন্তর (২৩) সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাটি কদমতলি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। তার নামে একটি অস্ত্র এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহত ফিরোজ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফিরোজের ভাই তারা শেখের (৫০) স্ত্রী হেলেনা খাতুনের (৩৫) সঙ্গে পাশের গ্রামের অন্তরের প্রায় ১ বছর ধরে প্রেম চলে আসছে। কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। কিছুদিন আগেও হেলেনার দেবর ফিরোজ ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন মিলে অন্তরকে ঘরে আটকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এক সপ্তাহ আগে ছাড়া পেয়ে বাড়ি আসেন অন্তর এবং ফিরোজকে হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে বনগ্রাম হাটের মধ্যে অন্তর তার এক সহেযাগীকে নিয়ে ফিরোজের ওপর হামলা চালায়। তারা ফিরোজের গলায় ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরোজ দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আঘাতটি তার মুখে লাগে। ফিরোজের চিৎকারে আশে পাশের লাকজন এগিয়ে আসলে অন্তর ও তার সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ফিরোজকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশেই বনগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ডা. অমিত কুমার রায় বলেন, দুবৃত্তের চেষ্টা ছিল গলায় বা ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করা। তবে তা মুখে লাগায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায়, তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আতাইকুলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্তর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নামে অস্ত্র মামলাসহ গত জাতীয় নির্বাচনে গাঙ্গহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলারও মামলা রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।