নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর শহরে রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করা হয়েছে। অন্তত ৮ থেকে ১০টি খুটিঁ রয়েছে রাস্তার মধ্যে। এতে করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এনিয়ে সড়ক ও জনপথ এবং নেসকো একে অপরকে দোষারোপ করেছে। সরকারী দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে ধারনা সচেতন মহলের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কানাইখালি এলাকা থেকে আলাইপুর পর্যন্ত অন্তত ৮/১০টি বৈদ্যুতিক খুটিঁ রয়েছে। শহরের রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে এসব খুটিঁ রাস্তার মধ্যে পড়েছে। এসব খুটিঁর ওপর ৩৩হাজার ভোল্টের লাইন সহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং অফিসের সংযোগ রয়েছে। খুঁটি না সরিয়েই সোমবার থেকে পুনারায় শহরের ভিতরের রাস্তার কার্পেটিং শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও রাস্তার মধ্যে এসব বৈদ্যুতিক খুৎটি থাকার পরও কাপের্টি করা হচ্ছে।
নাইম হোসেন নামে এক আটো চালক বলেন, দিনে না হলেও অন্তত রাতে যানবাহন গুলো সমস্যা পড়বে। রাস্তার মধ্যে খুটি থাকার কারনে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, শহরের হরিশপুর বাইপাস থেকে বেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত রাস্তাাটি নির্মাণের শুরু থেকেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এই রাস্তা ড্রেন নির্মাণ থেকে সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া নাটোর পৌরসভা, নেসকো সহ সরকারী অন্যান্যে বিভাগের সাথে সমন্বয় না করেই রাস্তার প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ফল ভোগ করছে এখন নাটোরবাসী। সরকারী দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় থাকল এই ধরনের কাজগুলো হতো না।
নাটোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ পাটেয়ারী বলেন, নেসকো কে বৈদ্যুতিক খুটিঁ সরানোর জন্য আমরা টাকাও দিয়েছি। কিন্তু তারা খুটিঁ সরিয়ে নেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটিঁ রেখে কার্পেটিং করা হচ্ছে। কারন এই কাজ অনেক দিন ধরে পড়ে থাকার কারনে সাধারণ মানুষদের ভোগাস্তি হচ্ছে।
তবে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী সুব্রত কুমার বলেন, সড়ক ও জনপথ রাস্তার পার্শ্বে জায়গা দেখিয়ে না দেওয়ার কারনে খুটিঁ সরানো সম্ভব হয়নি। কারন ৩৩হাজার ভোল্টের লাইন তো আর মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে টানা যায়না। এরআগে আমাদের যতগুলো সরাতে বলেছে আমরা সব গুলো সরিয়ে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক খুটিঁ সরানোর জন্য ৭৫লাখ টাকা দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এরমধ্যে ২০লাখ টাকা রয়েছে সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য। এরআগে আমরা যখন খুটিঁ সরানোর কথা বলেছি, তখন তারা বলেছে বর্ধিত হলে তখন তারা জায়গা দেখিয়ে দিবে। কিন্তু এখন তারা রাস্তার মধ্যে খুটিঁ রেখেই কার্পেটিং করছে। সরকারী দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারনে এই অবস্থার তৈরী হয়েছে।