মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ সিলেট-আখাউড়া রেলরুটে ঘনঘন ট্রেন দূর্ঘটনার প্রতিকার ও রেল লাইন দ্রুত সংস্কারের দাবীতে কুলাউড়া রেলষ্টেশন প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন করেছে কুলাউড়ার হাজরো জনতা আজ ২২ জুলাই বিকালে। কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, কুলাউড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আলাউদ্দিন, জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন, হাওর রক্ষা পরিষদ কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সহ-সভাপতি মাও আব্দুল ওয়াহিদ, রফিক মিয়া ফাতু,সাংবাদিক এম মছব্বির আলী, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রী নেত্রী রাহেলা সিদ্দিকা, অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন, নাজমূল বারি সোহেল, শেলুর রহমান শেলু প্রমুখ। কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির আয়োজনে অনুষ্টিত মানববন্ধনে প্রতিকুল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন- প্রতিবারই একই কায়দায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার অন্যতম কারণ মান্দাতার আমলের বিনষ্ট স্লিপার,লাইনে ক্লীপ-নাটবল্টুর অভাব, লাইনের নিয়মিত তদারকির অভাব সহ সর্বোপরি রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দায়ী। উল্লেখ্য গত ২৩জুন বরমচালের বড়ছড়া ব্রীজের ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভয়াবহ দূর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ৪জন যাত্রী নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন। আবার গত ১৯জুলাই সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির একটি বগি ষ্টেশন থেকে ৩শ ফুট দুরে লাইনচ্যুত হলে ট্রেনের পরিচালক টেনে-হিচড়ে বগিটিকে ষ্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসায় ৩শ ফুট রেল লাইনের স্লিপার ও লাইন পরিপূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। পরে ট্রেনটি ক্ষতিগ্রস্থ বগি রেখেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর ঠিক পরের দিন ২০জুলাই ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন একই স্থানে আবার লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে ড্রাইভার পূর্বের ন্যায় লাইনচ্যুত বগি রেখেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেন। বক্তারা আরো বলেন, প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ছোট দূর্ঘটনা গুলিই বড় কোন ভয়াবহ দূর্ঘটনার আভাস দিচ্ছে। তাই অনতি বিলম্বে রেল লাইনের সংস্কার দাবী করে বক্তারা বলেন, অন্যতায় আবারো বরমচালের ঘটনার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই রেল যাত্রা পরিহার করে বিকল্প যাত্রাপথ বেছে নিচ্ছেন। তাই রেল কর্তৃপক্ষকেই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, সিলেটের পাথরেই দেশের রেল সড়ক পথের সংস্কার হয়, সিলেটের রেমিটেন্সেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়, অথচ সিলেটকেই অবহেলা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রেল থেকে সিলেট বিদ্বেষীদের অপসারণ করতে হবে। গত একমাসের ভিতর বরমচালের ভয়াবহ রেল দূর্ঘটনা সহ পরপর ৪বার কুলাউড়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা চরম ভাবে বিঘিœত হচ্ছে।