সাঁথিয়ায় ৭ম শ্রেণির ছাত্র হাসপাতালে

সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া ছেলে ধরা গুজব। বোরকা পড়া মহিলার ছুরার কোপে স্কুলে যাওয়ার পথে ৭ম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান আহত । আহত স্কুল ছাত্র হাসপাতালে। উপজেলার সকল স্কুলের ছাত্র উপস্থিতি কম। পুলিশের দাবি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
আহত স্কুল ছাত্র ও থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার ঘুঘুদহ গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে ও ৭ম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান (১৩) ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে রওনা হন। পথিমধ্যে চরমাছখালি পাথরঘাটা মাঠে পৌঁছালে বোরকা পরিহত এক মহিলা তাকে থামিয়ে একটি কাগজ পড়তে দেন। এ সুযোগে মহিলা ব্যাগ থেকে ছুরা বের করতে থাকলে আতিকুর তা দেখে চিৎকার দেয়। এসময় মহিলা ছুরা দিয়ে আঘাত করলে স্কুল ছাত্র বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে ও দৌড়ে পালায়। ছুরার আঘাতে আতিকুরের বাম হাতের উপরের অংশ প্রায় ৩ ইঞ্চি কেটে যায়। পরে স্কুল ছাত্রের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ৪/৫ ঘন্টা ধরে আশপাশের পাট ক্ষেতে বোরকা পরিহত মহিলাকে খোঁজতে থাকে। তবে কেউই তাকে খুঁজে পায়নি। এলাকাবাসী আতিকুরকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছে।
এসংবাদ উপজেলা ব্যাপী পৌঁছালে সকল স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা ভয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্কুল ছুটি দেন। অনেক অভিভাবকেই সন্তান নিতে স্কুলের গেটে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
এবিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি সংবাদ পেয়ে আহত ছাত্রের বাবা ও মায়ের সাথে কথা বলে তাদের সন্তানকে চিকিৎসা দিতে বলেছি। সরকারকে বেকায়দায় ও আইন শৃংখলার অবনতি ঘটনার জন্য কোন মহল ষড়যন্ত করছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি এলাকার কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করে ঘটাতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।