মৌলভীবাজারে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। টিবওয়েল ও পুকুরের পানি বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গত এলাকার মানুষ এই পানি ব্যবহার করায় দেখা দিয়েছে, ডায়রিয়া, আমাশয়, জ¦র, পানি ও বাহিত রোগ। স্বাস্থ্য সম্মত স্যানেটারী ব্যবহার করতে না পারায় দূষিত হচ্ছে পানি। গৃহপালিত গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । বিপাকে পড়েছে গবাদি পশুর মালিক ও খামারিরা। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে- সাম্প্রতিক বন্যায় সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম, রাজনগর উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ২৩ টি গ্রাম, কমলগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম , কুলাউড়া উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সকল গ্রামে ৪০৭০টি পরিবার বন্যাক্রান্ত হয়েছে। তবে বেসরকারী হিসেবে প্রায় লক্ষাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। সদর উপজেলায় ২টি, রাজনগরে ৩টি ও কমলগঞ্জে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার চাল ও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ৭৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৬শত ৫০ মেট্টিক টন চাল, নগদ সাড়ে ৯লক্ষ টাকা ও ৭হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করার জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে আরো ২ শ মেট্রিকটন চাল। ধীরে ধীরে তা বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। চাহিদা মোতাবেক আরো বরাদ্ধ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন- গত কয়েকদিন উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত না হওয়াতে নদীগুলোর পানি অনেকটাই কমেছে। ভারি বর্ষণ না হলে আর নতুন করে বন্যার আশঙ্কা কম। তবে ঘর বাড়িতে উঠে যাওয়া পানি নামতে কিছুটা সময় লাগবে। পানি কমলে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধগুলো মেরামত করা হবে। বন্যা আক্রান্ত মানুষের অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মেডিকেল টিম বা চিকিৎসার সহযোগিতা করা হচ্ছে না।