রাজশাহীতে স্ত্রীর পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা

রাজশাহীর পবা উপজেলার শিতলাই ইউনিয়নের দামকুড়া থানাধীন কলারটিকর এলাকায় লাবলি বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে পায়ের রগ ও জবাই করে রেন্টু নামের এক যুবক থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে মর্মান্তিক এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘাতক স্বামীর উপজেলার কলারটিকর এলাকার টেবলেট খোকার ছেলে। পরে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ পায়। শুক্রবার সকালে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগে পাঠায়। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে,রেন্টুর সাথে স্ত্রী লাবলি বেগমের পরকিয়ার জেরে দীর্ঘদিন যাবত ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। আর এ কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এবিষয়ে দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, রেন্টুর অভিযোগ যে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাই তাকে হত্যা করেছেন। রেন্টু একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। রেন্টুর বাবার নাম কাশেম ওরফে টেবলেট খোকা। কয়েক বছর আগে একই উপজেলার সাইরপুকুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে লাভলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। ওসি জানান, নিহত লাভলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লাভলীর বাবা বাবলু রেন্টুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। দুপুরে রেন্টুকে আদালতে তোলা হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য,রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া ভোলাবাড়ি এলাকায় ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল স্ত্রীকে জবাই করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালত।