দলমত এবং ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বানভাসিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকারের একারপক্ষে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। বানভাসিরা দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। গাইবান্ধা সদরসহ অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। গাইবান্ধা শহরে ৩ ফিট পানি হলে সুন্দরগঞ্জ এলাকায় পানি পরিমান দাঁড়ারে ১০ ফিট। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে ১৪৫ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১০০ মেট্রিকটন চালের বরাদ্দ দাবি করা হয়েছে। যেহেতু বন্যা শিবিরে রান্না করা কষ্টকর সেহেতু রান্না খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি চর পাহাড়ায় গ্রাম পুলিশ আনসার ভিডিপি ও পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান জানিয়েছেন। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ওষুধ সরবরাহসহ মেডিকেল টিম গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। বন্যা পানিতে ডুবে যাতে কোন শিশু মারা না যায় সেদিকে সজাক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার পূর্ব মহুত্বে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিকের সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস বিফ্রিং-এ স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসয়ম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনসার আলী সরদারসহ জাপা নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিফ্রিং-এ উপজেলার সকল কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এমপি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বানভাসিদের চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ বরাদ্দের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।