কলমাকান্দায় কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ কম থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কমছেনা দুর্ভোগ। ইতোমধ্যে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসাউড়া, মন্তলা, বিশরপাশা, চান্দুয়াইল, রাজাপুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের রাস্তা-ঘাট ভেসে উঠতে শুরু করেছে। তবে ওইসব এলাকায় সড়কের অধিকাংশই ভেঙে গেছে। বুধবার পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু। বন্যার কারণে বাঁধ, অন্যান্য উঁচু স্থান ও সড়কে আশ্রয় নেয়া মানুষের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব মিটছে না। উপজেলাজুড়ে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বন্যা দুর্গত এলাকায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে চর্মরোগ ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। স্থানীয়দের অনেকে পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হওয়া ঘর এবং ভেতরে জমে থাকা বালু-কাদার স্তুপ সরাতে ব্যস্ত রয়েছেন। একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি ও কাঁচামালের আমদানি না থাকায় খাদ্যসংকটে অনেকে দিশেহারা। আর কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
এদিকে উপজেলার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি সেবা দপ্তরের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আল মামুন যুগান্তরকে বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে চর্মরোগ ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজনকে সচেতন করতে পারলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে।