রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা ও গোপালপাড়া-আনোলিয়া রোড এলাকায় পুলিশী অভিযান না থাকায় ইয়াবা-হেরোইনের রমরমা ব্যবসায় অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। হাত বাড়ালেই পাওযা যাচ্ছে মরণ নেষা হেরোইন-ইয়াবা। এতে করে যুবসমাজ জীবন বিনাশী হেরোইন ইয়াবা সেবন করে বিপথগামী হচ্ছে,অন্যদিকে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আঙগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। কয়েক বছর ভয়ঙ্কর নেশা ইয়াবা-হেরোইনের অবৈধ ব্যবসা করে তারা কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান,বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড চকিরপাড়া মহল্লার মৃত ব্যাংগার কন্যা কুখ্যাত ইয়াবা-হেরোইনের ব্যবসায়ী পারুল বেগমসহ তার বড় বোন কোহিনুর বেগম,ছোট বোন চম্পা বেগম ও রুকচানা বেগম তাহেরপুর-দুর্গাপুর মেইন রোডের সাথে বাড়ীতে ও চকিরপাড়ার বাড়ীসহ বিভিন্ন যায়গায় ভ্রাম্যমান হিসেবে তাদের ছোট বড় ছেলে-মেয়েদের দিয়ে দির্ঘদিন ধরে পুলিশ প্রশাষনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে কৌশলে মরন নেষা হেরোইন,ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকমের মাদক ব্যবসা করে আসছেন। ওঐ সকল হেরোইন,ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকমের নেষা সেবনের জন্য নিম্ম আয়ের হেরোইন সেবীরা নেষার টাকা যোগার করতে না পেরে তাহেরপুর বাজারের বিভিন্ন দোকান-বাড়ীর তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ মালামাল ও গরু-ছাগল এবং বাইসাইকেল,ভ্যানগাড়ি দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চুরি করে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে দিয়ে হেরোইনের পুরিয়া কিনে নিয়ে সেবন করছে।
কুখ্যাত হেরোইনের ব্যবসায়ী পারুল ও কোহিনুর, রুকচানা বেগম ও চাম্পা ঐসকল চুরি করা মালামাল ও গরু-ছাগল এবং বাইসাইকেল ভ্যানগাড়ি গুলো তাদের ঢাকা ও রাজশাহী থেকে আসা নামমাত্র স্বামীকে দিয়ে চুরি হওয়া মালামালা শহরের বিভিন্ন যায়গায় কম দামে পাচার করছে। শতাধিক এলাকাবাসীর আভিযোগ,কুখ্যাত ইয়াবা হেরোইন ব্যবসায়ী পারুল মাদক ব্যবসা করে বর্তমানে কোটি প্রতি বনেগেছে। তার দুটি বাড়ি এবং দুর্গাপুর মেইন রোডের সাথে আবারোও চারতলা ফাউনড়েন্সের আট সি সি পিলার দিয়ে বাড়ী তৈরী করছেন। এদিকে,দুর্গাপুর ও বাগমারার পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। হেরোইন খুরদের দফায় দফায় চুরি বেড়ে যাওয়া ও প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে এসব ঘটনাকে নিয়ম বলেই মেনে নিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে করে দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপাড়া-আনোলিয়া রোডে এবং বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে হেরোইনের রমরমা ব্যবসায় দিগুনহারে বেড়ে চলেছে। এদিকে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামার মাদক ব্যবসায়ী কুদ্দুর আলীর পুত্র নেংড়া বাচচুসহ প্রায় নতুন ১৫জন মাদক ব্যবসায়ী তাহেরপুর-রামারামার ব্রীজ মোড় থেকে কামারখালী হয়ে চেউখালীর ঘুগড়াতলার মোড় পর্যন্ত প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল,ইয়াবা ও হেরোইনের পুরিয়ার ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচেছ। আর এই সকল নেষা উর্তি বয়সের তরুন ছেলেরা পান করে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ছে এবং তারা সর্বসান্ত হচেছ। এতে করে আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। তবে কয়েক বছর ভয়ঙ্কর নেশা ইয়াবা হেরোইনের অবৈধ ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপাড়া-আনোলিয়া রোড,তাহেরপুর বাজার ও রামরামাতে এ সকল মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মরন নেশা আরো কয়েকজন রাঘবোয়াল মিলে একটি ইয়াবা-হেরোইন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ ক্যাম্পের বর্তমান ইনচার্জ লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এবিষয়ে আমরা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করেছি।কিন্তু তারা জেল থেকে জামিনে বাহির হয়ে এলাকায় এসে আবারও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে