নলডাঙ্গা পৌরসভার অপসারিত মেয়র মনিরসহ আওয়ামীলীগের ২৮ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের

বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের উপর হামলা করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান কে এস এস পাইপ,লোহার হাতুড়ী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৌরসভার অপসারিত মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির কে প্রধান করে আওয়ামীলীগের ২৮ নেতাকর্মিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম জীবন বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
২০ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা থানায় লিখিত এজাহার দেওয়ার পর রাতে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয় বলে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনোরুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মামলার এজাহারে নলডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনির,জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য রইস উদ্দিন রুবেল,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ,ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মিঠু,উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটন,সাবেক প্যানেল মেয়র সাহেব আলীকে প্রধান আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন,নলডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর ফরহাদ আলী,মশিউর রহমান মকুল, জহুরুল ইসলাম বাবু,সোহরাব হোসেন আন্ডি,আজিজুল ইসলাম,আকরামুল ইসলাম শিমুল,পৌরসভার কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিকসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১৫-২০ জন কে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়,২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে বাদীর পিতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান স্থানীয় নেতাকর্মিদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্ততি মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিল।এ সময় নলডাঙ্গা বাজারের পুরাতন মাছ বাজারের দিকে আসলে নলডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে আসামীরা বাদীর পিতা বিএনপির নেতা জিল্লুর রহমানের পথরোধ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জিল্লুর রহমান কে এস এস পাইপ,লোহার হাতুড়ী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা চেষ্টা করা হয়।এসময় বিএনপির নেতা জিল্লুর রহমানের পকেটে থাকা ১১ হাজার ২০০ টাকা চাঁদা স্বরপ ছিনিয়ে নেয়।