// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে মো.আরিফুল রহমান আনিছ নামে এক ভুয়া চক্ষু চিকিৎসককে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন।
বৃহ¯পতিবার(১৫ আগস্ট) রাত ৭ টার দিকে উপজেলার গালর্স হাই স্কুল মাকের্টের বর্ণালী চশমা ঘর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এক মাসের কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
ওই ব্যক্তি তার নামের পাশে এম এল ও পি এবং বিএনএসবি সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক বলে লিখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে দাবী করে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা গোপনে জানতে পারি, তিনি কোনো ডাক্তার না, তার কোনো সার্টিফিকেট নেই। তবুও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিতেন। আজ আমরা শিক্ষার্থীরা তাকে হাতে নাতে আটক করেছি। পরে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি, একজন ভুয়া চিকিৎসককে তারা আটক করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি চিকিৎসা বা ডাক্তারির কোনো সাটিফিকেট দেখাতে পারেননি। পরে তিনি নিজেও স্বীকার করেন তিনি চিকিৎসক