// বিশেষ প্রতিনিধিঃ আমরা চাচ্ছি পাবনায় যতগুলো বয়েস এবং গার্লস স্কুল ও কলেজ আছে। সকল শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে লেখাপড়া করুক।
তোমরা বাড়িতে খবরের কাগজ পড়বে, খবর দেখবে। যখন চাকরির ইন্টারভিউ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, বিসিএস পরীক্ষা দিতে যাবে তখন এগুলো কাজে লাগবে।
আজকে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে। সারা বিশ্বে মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে নারীর যদি অ্যাডভান্স হয়ে থাকে সেটা বাংলাদেশে। এটা কেন হয়েছে? শেখ হাসিনা’র জন্য। কারণ, তিনি একজন নারী। আজকাল তো মেয়েরাই ভলো ফলাফল করে। রেজাল্ট তো দেখি আমরা। তাই মেয়েরা যদি যোগ্য হয় তাহলে উপর মহলে তারা তাদের অধিকার কেন পাবে না! সেই জায়গায় শেখ হাসিনা কাজ করছে।
এমন কোন সেক্টর নাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ, রাজনীতি, সমাজনীতি, বিচারালয়ে আইনজীবী, সাহিত্য – সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ক্রিকেট, ফুটবল, নেতৃত্বে সর্ব ক্ষেত্রে এখন নারীদের দেখা যায়। এটা ভালো লাগে।
গতকাল ৩ জুন সোমবার দুপুরে পাবনা আদর্শ গার্লস হাই স্কুল এর নব নির্মিত মিলনায়তনের উদ্বোধন কালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এ কথাগুলো বলেন।
দুপুর সাড়ে ১২ টায় আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের আসন গ্রহনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নব নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহেল হাসান শাহিন। সভাপতির বক্তব্য দেন বিদ্যালয় ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি এস মুস্তাকিম সবুজ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান।
স্কুলের প্রবেশ দ্বারে গার্লস গাইডের মেয়েরা প্রধান অতিথি এমপি প্রিন্স ও বিশেষ অতিথি চেয়ারম্যান শাহিনকে প্যারেডের মধ্য দিয়ে ফুলের ত্বোরা দিয়ে প্রধান অতিথির আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম, বিশেষ অতিথির আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম শ্লোগানে বিশেষ সম্মানের সাথে বরণ করে নেন। বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রথমে নব নির্মিত ভবনের ফিতা কেটে ও ফলক উম্মোচন করে উদ্বোধন করেন প্রিন্স। তারপর দোয়া করা হয়।
পৌঁনে ১ টায় প্রধান অতিথিসহ সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সঙ্গীতটি পরিবেশন করেন সঙ্গীত প্রশিক্ষক সমীর মজুমদার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত তার দল। তারপর আবার
১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা নিরবতা পালন করা হয়।
সমস্ত অনুষ্ঠান জুড়ে বিদ্যালয়ের নতুন হল রুমে ইউনিফর্ম পরিহিত শত শত শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল বসে থাকা ও ভলেন্টিয়ার মেয়েদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এবং ভবনটি রংবেরঙের বেলুন দিয়ে সাজানো ছিলো চোখে পরার মত।
জ্যেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক কে এম শুকুর আলী ও সিনিয়র শিক্ষক আফরোজা খাতুন’র সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিরোক হোসেন, পৌর আ’লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিহার আফরোজ জলি,
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য শাহ জামাল বাদশাহ, আব্দুল হাকিম, জালাল আহমেদ, রাজিয়া সুলতানা, সোনালী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা কোহিনুর , সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ুন কবির, কে. এম. আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, ধর্ম শিক্ষক আব্দুল হামিদ খান, সহকারী শিক্ষক মেরিনা আক্তার মেরিন, দেলোয়ার হোসেন, আফতাব উদ্দিন, নারগিস আরা, সাইমা ইয়াসমিন, আল আমিন হক, শামীমা আক্তার, হাবিবুর রহমান, পিংকি বিশ্বাস, মৌসুমি খানম, রফিকুল ইসলাম, আয়েশা সিদ্দিকা, শরীফ আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, শরিয়ত উল্লাহ, উপমা সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে। তিলাওয়াত করেন ৭ম শ্রেণীর ইয়াসমিন ইসলাম জুঁই। তারপর গীতা পাঠ করেন ৮ম শ্রেণীর বর্ষা কুমারী দাস।