// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থী(১২)কে অপহরণ করে ধর্ষনের দায়ে সাব্বির আলী(১৯)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩০ হাজার টাকা ও অপর আরেকটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড সেসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছে আদালত। এমামলায় আরো দুই জনের খালাস প্রদান করেন। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
সাজা প্রাপ্ত সাব্বির আলী লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। আর খালাস প্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর রাতে দুড়দুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে
অপহরণ করে সাব্বির আলী ও তার সহযোগিরা। এঘটনায় ভূক্তভূগির বাবা সাব্বিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে সাব্বিরের বাবা (ভূক্তভূগি)মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে ভূক্তভূগির বাবা সাদেকুল ইসলাম টেনু লালপুর থানায় বাদি হয়ে সাব্বির আলী ও তার বাবা আব্দুল মান্নানের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩জন অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। তারপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অমরপুর নিজ বাড়ি থেকে সাব্বিরের বাবা আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ রাতে সাব্বিরকে রাজশাহী শহরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর থেকে গ্রেফতারসহ ভূক্তভূগি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
নাটোর জজ কোর্টের ¯েপশাল কৌসুলি এড. আনিছুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষনের দায় সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় সাব্বির আলীকে একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩০ হাজার টাকা ও অপর আরেকটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড সেসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছে আদালত। এমামলায় খালাস প্রদান করেন একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে। এরায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন বাদী পক্ষ।