// রাতভর ইরানের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান। খবর মিডল ইস্ট আই’র
আমিনোয়াচ বলেন, আমরা যদি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলি; ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র- যা অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা দরকার, সেগুলো আমরা মূলত যুদ্ধবিমান দিয়ে ভূপাতিত করছি। অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৩৫ লাখ ডলার, ডেভিডস স্লিংয়ের জন্য ১০ লাখ ডলার, এছাড়া জেট বিমানের জন্যও এ ধরনের খরচ হয়েছে। অর্থাৎ সব খরচ মেলালে ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার ইরানিয়ান কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে তেহরান। এখন প্রশ্ন হলো ইসরায়েল কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে সরাসরি যোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই। আগামী কয়েক ঘণ্টা এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে তারা বিপজ্জনক যে কোনো সিদ্ধান্ত এড়াতে সক্ষম হবে কিনা সেটাও এখন সবচেয়ে বড় আশঙ্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সব পক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্ব আরেকটি যুদ্ধের ভার বহন করতে পারবে না।’ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ফ্রন্টে বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের কারণ হতে পারে-এমন যেকোনো পদক্ষেপ এড়াতে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বানও জানিয়েছেন গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, অঞ্চলব্যাপী (মধ্যপ্রাচ্য) বিধ্বংসী উত্তেজনার প্রকৃত বিপদ সম্পর্কে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা এমন কোনো পদক্ষেপ যেন না নেয়, যা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ফ্রন্টে বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের কারণ হতে পারে। আমি বারবার জোর দিয়ে বলেছি, এই অঞ্চল বা বিশ্ব আরেকটি যুদ্ধের ভার বহন করতে পারবে না।