রাজনগরে পৈত্রিক সম্পত্তি’র লোভে আপন ভাইকে হত্যার চেষ্টা

// মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ৩ ভাই মিলে অপর এক ভাইকে ভিঠেমাঠি ছাড়া করতে একের পর এক হামলা-নির্যাতন এমনকি অপহরণ করে প্রানে হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ফতেপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম আলীর ৪ পুত্র সন্তানের মধ্যে ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলী (৫০) ২য় সন্তান।পিতার জীবতদ্দশায় ছেলে মোহাম্মদ আলীকে তাদের পিতা অপরাপর ছেলেদের তুলনায় বেশী স্নেহ করেন বলে পিতার সহায়-সম্পত্তি বাধ্য ছেলে মোহাম্মদ আলীকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে অভিযুক্ত ৩ ভাই ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারীতে ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলীকে স্থানীয় মোকামবাজার থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্ধারা প্রানে হত্যার উদ্যেশ্যে জোর পুর্বক অপহরন করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যাবার সময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবগত করেন।পরে পথিমধ্যে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ গাড়ীসহ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাবার পর অপহরনকারীরা ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করলে,অপহরনে জড়িত ছেলেরা তাদের পিতাকে ম্যানেজ করে থানায় গিয়ে বিষয়টি রফাদফা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আতাউর মাষ্টার, রাখাল চন্দ্র দাশ, আব্দুর রকিব সুমন, মঈনুদ্দিন মেম্বার,সামছুদ্দিন মাষ্টার, শাহাজান মিয়া, খুরশেদ আলম রাজা, আমিন মেম্বার, সুহেল মেম্বার সহ আরো অনেকে।এদিকে তার পিতা জীবিত থাকাকালীন সময়ে ব্যবসায়ী ছেলে মোহাম্মদ আলীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাজারে একটি দোকান ভিটার সামনের অংশ পুত্র মোহাম্মদ আলীর নামে রেজিষ্টি করে কিছুদিন পর মৃত্যু বরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর বিষয়টি জানাজানি হলে অপর ৩ ভাই লন্ডন প্রবাসি আহমদ আলী, তাজুল ইসলাম, আহাদ আলী তাকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ভাবে পায়তারা শুরু করে। এ নিয়ে থানায় মামলা-মোকদ্দমা হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দেন। কিন্তুু, ৩ভাই উক্ত রায় মেনে নেননি। অপরদিকে, আপন ৩ ভাই, মাতা- তার বড় বোন দিলোয়ারা বেগম ও তার বোন জামাই মোঃ শরীফ চৌধুরী একজোটবদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী-কে নিস্ব: করার ষড়যন্ত করেন। বড় বোন দিলোয়ারা বেগম ও তার বোন জামাই মোঃ শরীফ চৌধুরী এর সিলেটস্থ একটি বাসা বিক্রয় করে, ২০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন এবং বাসার দখল সমজিয়ে দেন। কিন্তুু পরবর্তীতে উক্ত বাসার মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বোন ও বোন জামাই উক্ত বাসা রেজিষ্টারী করে দিতে টালবাহানা শুরু করেন। উক্ত ২০ লক্ষ টাকার বিপরীতে বোন জামাই মোঃ শরীফ চৌধুরী শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এর তার নামীয় একটি চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার চেকের বিপরীতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে চেকটি ডিজঅনার হয়। ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলী প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা ( নং- দায়রা-২০৬/১৬) দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক বোন জামাই মোঃ শরীফ চৌধুরী (পলাতক) -কে দোষী সাব্যস্থ করে কারা দন্ড প্রদান করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই,বোন ও মা একজোটবদ্ধ হয়ে তার দখলীয় বাসা হইতে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে প্রাণে হত্যা‘র ষড়যন্তে লিপ্ত রয়েছেন। গত ২৫ মার্চ রাত আনুমানিক দেড়টায় পাশ্ববর্তী কালা মিয়ার বাড়ীতে একটি ডোবায় ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলীর দুই ভাই অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ও আহাদ আলী জোর করে মাছ ধরতে গেলে কালা মিয়ার সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলী উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার প্রস্তাব দেন। এ সময় পুর্ব আক্রোশের জেরে অভিযুক্ত তাজুল ও আহাদ আলী অকথ্য ভাষায় মোহাম্মদ আলীকে গালিগালাজ করে প্রানে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ীতে চলে যায়। রাত আনুমানিক ২ ঘটিঘায় মোহাম্মদ আলী তার বসত ঘরের বারান্দায় আসা মাত্র অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ও আহাদ আলী মোহামদ আলীর উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করলে মোহাম্মদ আলীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে তার বাবাকে রক্ষার চেষ্টা করে। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্কুল পড়ুয়া কামরান হাসান(১৭) রক্তাত্ব জখম হয়। স্বামী এবং ছেলেকে রক্ষায় কামরানের মা ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্তরা তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আলী রাজনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে।