বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভুল বোঝাবুঝির জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যান। পরে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের অনুরোধে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ফেরেন তারা। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ চত্বরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান চলছিলো। শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে মূল মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব ও অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম খান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন নেতাকেও না ডাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণের আহ্বান জানালে মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদেরকে অসম্মানের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে বাইরে চলে যেতে উদ্যত হন। এ সময় কেউ কেউ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়েও যান। এ পরিস্থিতি দেখতে পেয়ে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এগিয়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করেন। এমপির অনুরোধে মুক্তিযোদ্ধাগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক বলেন, আজকের এই মহান দিবসে পতাকা উত্তোলনের অতিথিদের সঙ্গে আমাদের কাউকে না ডাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে এমপি ও ইউএনও মহোদয় পতাকা উত্তোলনে কারা থাকবেন সে বিষয়ে সরকারি নিয়ম বুঝিয়ে বলার পর আমরা স্বতস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বা সংসদ সদস্য পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আসনে থাকবেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কেউ সেখানে থাকতে চাইলে আমরা অবশ্যই তাদের রাখতাম। এটা অনাকাঙ্খিত ভুল।
সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, সামান্য বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো। পরে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এমপি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান চিরকালের জন্য আছে ও থাকবে।