বগুড়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিপস উৎপাদন ও বিপণন করবে উদ্যোক্তারা

// সঞ্জু রায়, বগুড়া :

বিএআরআই উদ্ভাবিত স্বল্প মূল্যের ভ্যাকুয়াম ফ্রাইং মেশিনের মাধ্যমে বগুড়ায় আলু, কলা, কাঁঠাল ও আম থেকে গুণগত মান বজায় রেখে চিপস উৎপাদন ও বিপণন করবে উদ্যোক্তারা। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ যেখানে অর্থায়নের মাধ্যমে এগিয়ে এসেছে ডিবিবিএল। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া মহাস্থানগড়ের পিঠাহারীতলা এলাকায় উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে চিপস তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রশিক্ষণ ও মাঠদিবস যেখানে অংশ নেয় সাধারণ কৃষক ও তরুণ উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. ফেরদৌস আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: মো: মঞ্জুরুল আলম। এছাড়াও এই প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং বেকারত্ব দূরকরনের মাধ্যমে উৎপাদন পর্যায়ে কৃষিজ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে কিভাবে ভূমিকা রাখবে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সে বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও বারি’র সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মসলা গবেষণা কেন্দ্র বগুড়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মাসুদ আলম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার হায়দার প্রধান এবং শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার। 

এছাড়াও উদ্যোক্তাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাহমুদা আক্তার, সিহাব উদ্দিনসহ অনেকেই। তারা বলেন, শিশুদের খাদ্যপণ্য হিসেবে বাজারে চিপসের চাহিদা বরাবরই বেশি। কিন্তু বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর মতো তাদের চিপস নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কৃষকের জমির কলা এবং আলু দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চিপস উৎপাদন করছে যার স্বাদ এবং মান বাজারের চিপসের তুলনায় অনেক বেশি যে কারণে তাদের উৎপাদিত চিপসের চাহিদা বেড়েই চলেছে। পরবর্তীতে আম ও কাঁঠাল থেকেও চিপস উৎপাদন শুরু করবেন তারা। আর এই কাজে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ডিবিবিএল যেভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উদ্যোক্তারা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।