ইবিতে শিক্ষকের পদাবনতি, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 

// রানা আহম্মেদ অভি, ইবি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফাইন্যান্স  অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নওগাঁ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি। অসদাচরণের অভিযোগে তাঁকে পদাবনতি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। 

মানববন্ধনে নওগাঁ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্ব প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। 

এসময় ‘প্রশাসনের পক্ষপাত নিপাক যাক, নিপাক যাক!’ ‘অপশক্তির হাতে সততা আজ বন্দি’ উই স্ট্যান্ড ফর বখতিয়ার স্যার’ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর বখতিয়ার স্যার’ সম্বলিত ফেস্টুন হাতে শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। 

নওগাঁ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘একজন শিক্ষককে এভাবে অবনমন করা এটা কাম্য নয়। আমরা মনে করি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এটা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে যাতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন না হয় সেই ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ 

অন্যদিকে ফাইন্যান্স  অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে বিভাগের সাবেক সভাপতিকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পদ অবমাননাকর  দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স  অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের সভাপতি হিসেবে ড. বখতিয়ার হোসেন উক্ত নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। যেকোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য কিংবা মতভিন্নতা থাকতেই পারে। 

সেই মতভিন্নতার কারণে ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬২তম সিন্ডিকেটে ড. বখতিয়ার হোসেন-কে পদ অবনমন করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘এটা সিণ্ডিকেট সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব এখানে নেই।

শিক্ষার্থীদের দাবি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের এখানে কোন ফাংশন নেই। শিক্ষার্থীরা কেন মানববন্ধন করবে, এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এটা তদন্ত কমিটি ও প্রশাসন নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা এখন আর সম্ভব না।’