// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
গ্রামীণ সংস্কৃতিতে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নারী উদ্যোক্তাদের ব্যতিক্রমী পিঠা প্রতিযোগিতা ২০২৪। শুক্রবার শহরের রোচাস রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামকেই যেন সাজিয়ে তোলা হয়েছিলো গ্রামীণ আবহে যেখানে ২২টি স্টলে বাহারি স্বাদের পিঠার সমারোহে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব।
দেশজুড়ে পিঠা প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর অংশ হিসেবে লবি রহমান’স কুকিং ফাউন্ডেশন এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে যেখানে অংশগ্রহণকারী সকলেই ছিল নারী উদ্যোক্তা। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। দুপুর ২ টা পর্যন্ত রন্ধনশিল্পী লবি রহমান স্টলগুলোতে থাকা পিঠা ঘুরে দেখেন। তিনি ৬ জন সেরা নারী উদ্যোক্তা নির্বাচিত করেন। তাঁদের সবাইকে ভারতের কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি এই ৬ জন ঢাকায় লবি রহমান’স কুকিং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।
দুপুরের মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষে নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি করা পিঠা বিক্রি করেন। স্টলে স্টলে ঘুরে নানারকম পিঠার স্বাদ নেন দর্শনার্থীরা। স্টলগুলোতে ছিল দুধপুলি, চিতই, রসপাকান, গোলাপ পিঠা, ঝালপিঠা, তালের বড়া, ঝাল কুশলি, মুগপাকন, বেনি পিঠা, ঝালকদম, তিল পিঠা, হৃদয় হরণ পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা, বিবিখানা পিঠা, ভাপাপিঠা, শামুক পিঠা, জামাই পিঠা, লবঙ্গ লতিকাসহ আরও নানা ধরনের পিঠা।
আয়োজন প্রসঙ্গে লবি রহমান’স কুকিং ফাউন্ডেশন বগুড়ার সভাপতি তাহমিনা পারভীন শ্যামলী বলেন, পিঠা হলো দেশীয় ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। আয়োজনে বেশ ভাল সাড়াও পাওয়া গেছে। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করা নারী উদ্যোক্তারা ঢাকায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন প্রতিযোগিতার গ্র্যাণ্ড ফিনালেতে৷
আর রন্ধনশিল্পী লবি রহমান বলেন, আমাদের মা-বোনেরা অনেক কষ্ট করে পিঠা তৈরি করেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়না। এইজন্য দেশব্যাপী এই পিঠা প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতিযোগিতায় লবি রহমান’স কুকিং ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার পলিন ডি রোজারীও এবং সংস্কৃতি বিভাগের উপদেষ্টা উল্কা হোসাইনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।