খামসামায় নালার ভাঙনে হুমকির মুখে আবাদী জমি


// এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: নালার ভাঙনে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের উত্তম পাড়ায় হুমকির মুখে প্রায় ১৫ একর আবাদী জমি। এতে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং ভাবকী ইউনিয়নের উত্তম পাড়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনের নালা ভাঙনের ফলে স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ায় দুশ্চিন্তায় ঐ এলাকার প্রায় ৩০ জন কৃষক-কৃষাণী। বর্ষায় এই ভাঙনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে আশংকায় দিন পার করছে ঐ এলাকার কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায় দীর্ঘদিন থেকে ভাবকী ইউনিয়নের উত্তম পাড়া এলাকার শাহারজান নামে এই নালা দিয়ে এই অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পানি বেলান নদীতে পড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে এই নালার ভাঙনের ফলে আবাদী জমি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।

নালা ভাঙ্গন রোধ ও আবাদী জমি রক্ষার জন্য গাইডওয়াল নির্মাণের আবেদন জানিয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

হতাশার কন্ঠে গার্মেন্টস কর্মী মেরিনা খাতুন বলেন, রিকশাচালক স্বামী ও আমার উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে ২০ শতকের এই সম্বল নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। কেননা গত কয়েক বছর ভাঙনে অনেকটা জমি চলে গেছে খরা মৌসুমে কিছুটা জমি উঁচু করলেও সবসময় শঙ্কায় থাকতে হয় কখন যে আবাদী জমি বিলীন হয়।

নুর আলম নামে ঐ এলাকার এক চাষী বলেন, প্রতি বছরের ভাঙনে গাছ ও আবাদী জমি কমছে। এতে আমার প্রায় ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

সাইদুজ্জামান নামে এক যুবক বলেন, নালা ভাঙনের ফলে আমরাও চিন্তিত। দ্রুত ভাঙন রোধে বর্ষার আগেই এই নালায় গাইডওয়াল নির্মাণ করা জরুরী।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজ উদ্দিন বলেন, নালা ভাঙনের স্থান ও আবাদী জমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত সময়ে গ্রহণ করা হবে। আবাদী জমি রক্ষা ও কৃষকদের যেকোনো প্রয়োজনে প্রশাসন পাশে থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।