নাটোরে এবার হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা প্রাণের ব্যবস্থাপকের হাত-পা ভেঙ্গে দিল

// নাটোর প্রতিনিধি -নাটোরে হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তরা প্রাণ কো¤পানীর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহসিন আলীকে হাতুড়ি, রড ও স্ট্যা¤প দিয়েপিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে । এঘটনায় আজ রোববার(৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পক্ষে মো. হাসেম নামে এক কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।গতকাল শনিবার সকালে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া টাওয়ার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কর্তৃপক্ষ আজ রোববার রাত আটটায় এ ঘটনায় মামলা করেছে সদর থানায়।

গুরুতর আহত ব্যবস্থাপক মোহসিন আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মোহসিন আলী সদর উপজেলার কাফুরিয়া এলাকার মো. শাহাদত হোসেনের ছেলে।পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে মাঠে নেমেছে।

নাটোর সদর থানা ও প্রাণ কো¤পানির নাটোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মোহসিন আলী মোটরসাইকেল চালিয়ে কাফুরিয়ার প্রাণের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পথে কাফুরিয়া টাওয়ার মোড়ে পৌঁছালে ছয় সাতজন হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্ত হাতুড়ি, রড ও স্টা¤প নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা করে রাস্তায় ফেলে যায় । পরে আহত অবস্থায় তাকে একজন ভ্যানচালক তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে আমজাদ খান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আমজাদ খান মেমোরিয়াল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন, মোহসিন আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাত-পা ভেঙেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখানে এক্স-রে করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির আইনবিষয়ক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, মহসিন আলী আমাদের প্রাণ ফাক্টরির এ্যাডমিন ম্যানেজার ছিলেন। কী কারণে তাঁদের ব্যবস্থাপকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বিস্তারিত জানা যাবে। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে অফিসে যাওয়া পথে কাফুরিয়ার টাওয়ার মোড় এলাকায় ৫ থেকে ৭ জন হেলমেট পড়া দুবৃত্তরা তার উপর হাতুড়ি, রড ও স্ট্যা¤প দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি হামলায় মহসিনের বাম হাত ও দুই পা ভেঙ্গে গেছে, তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটিতে কিছু ত্র“টি ছিল। পরে তা ঠিক করে মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বাদী চারজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে প্রাথমিক তদন্ত না করে বলা যাবে না, কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে যারাই এ ঘটনা ঘটাক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।