বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠার পিছনে মা’দের ভূমিকাই বেশি। মা’দের কারণেই ছেলেমেয়েরা ভালো এবং খারাপ হয়। কারণ দুষ্টুমি করলে বাবা শাসন করেন কিন্তু মা কিছুই বলেননা, উল্টো পক্ষ নেন। অন্যের ছেলের দোষ ধরেন কিন্তু নিজের ছেলে নিষ্পাপ। মা’র কাজই হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের ভালোবাসা দেয়া। একদম অন্ধের মত। তাদের শাসন করতে হবে এটা মায়েরা জানতেননা। কারণ তখন বেশিরভাগ মায়েরাই অশিক্ষিত ছিলেন, ছিলেন সহজসরল। তাছাড়া বাড়িঘর এতো ভালো ছিলোনা, বিদ্যুৎ ছিলোনা, তথ্যপ্রযুক্তি, টিভি, মোবাইল ফোন, ফোন কিছুই ছিলোনা। শিক্ষা বান্ধব সরকার শেখ হাসিনা। আগে এতো মানুষ লেখাপড়া জাতেননা। যখন আমরা পাবনার ৭জন একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলাম, তখন অনেকেই আমাদের দেখতে এসেছিলেন। কারণ সবাই ভর্তি হতেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন এগুলো সহজ হয়ে গেছে। এখন লেখাপড়ার মান অনেক বেড়েছে। এখনকার মায়েরা লেখাপড়া করছেন। তারা অনেক সচেতন। এখন আপনারা বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে আসেন। আমাদের সময় মায়েরা বাড়ি থেকে বের হতেননা। বের হলেই রিক্সা শাড়ি দিয়ে ঘেরাও হতো।
বর্তমানে ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ন্ত্রন করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এখানে আপনারা যারা মা আছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ বাচ্চাদের মোবাইল ফোন দিবেন পড়ালেখার জন্য। ঘুমাবার আগে নিয়ে নেবেন।
আজ শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি আদর্শ গার্লস হাই স্কুলে
৫ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য, ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ -২০২৪ এর ৪র্থ দিনে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাওয়াল বিশ্বাস ও সাসুন্নাহার রেখা এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিহার আফরোজ জলি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজং কমিটির সভাপতি এস মুস্তাকিম সবুজের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা কোহিনুর।
দুপুর ১২ টায় অতিথিদের আসন গ্রহন ও তাদের ফুল দিয়ে বরণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বরণ করেন ১০ম শ্রেণীর ইশিতা, রেদোয়ানা, অনু, তাসনিম ও সাদিয়া।
প্রতিবছরের ন্যায় ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণীর ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারি শীক্ষার্থীর মা’দের উপহার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর মা’দের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট,
থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ, অর্থ সম্পাদক হিরক হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি।
জ্যেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক কে এম শুকুর আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল হাকিম, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ খান, সিনিয়র শিক্ষক আফরোজা খাতুন, সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ুন কবির, কে. এম. আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, ধর্ম শিক্ষক আব্দুল হামিদ খান,
দেলোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক মেরিনা আক্তার মেরিন, আফতাব উদ্দিন, নারগিস আরা, সাইমা ইয়াসমিন, আল আমিন হক, শামীমা আক্তার, হাবিবুর রহমান, পিংকি বিশ্বাস, মৌসুমি খানম, রফিকুল ইসলাম, আয়েশা সিদ্দিকা, শরীফ আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, শরিয়ত উল্লাহ, উপমা সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে তিলাওয়াত করেন ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুরানি করিম।