নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার জোনাইল বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দিঘইর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের (২৮) নেতৃত্বে ১০-১২ জন নৌকার কর্মী এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত শরিফুল। শরিফুল ইসলাম দিঘইর গ্রামের মৃত আলমাছ শেখের ছেলে ও জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। আহত শরিফুল ইসলামের ভাই আরিফ হোসেন বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি বিগত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের কর্মী ছিলাম। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হন। সে সময় থেকেই নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তারই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাছ আড়তে টাকা কালেকশন করতে ছিলাম। এ সময় দিঘইর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ওই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪৫), আব্দুল মজিদের ছেলে পরাগ হোসেন (২৫), আদু প্রামাণিকের ছেলে সোহান হোসেন (২২), সাহার আলীর ছেলে সাগর আলী (২৬) সহ ১০-১২ জন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপরে হামলা চালান। আমি দৌঁড়ে পালাতে চাইলে তারা পিছু ধাওয়া করে আমাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তার ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের তাদের কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই। নির্বাচনে তাদের পক্ষে কাজ না করার কারণে আমার ভাইয়ের উপর হামলা করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন বলেন, তাকে কে বা কারা মেরেছে আমি জানি না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, একজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।