// নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে পৌষ মাসের শেষে ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠা-ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ বেশী। শীত বাড়তে থাকায় পশু পাখিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে। তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়ছেন গৃহহীন, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষসহ পানিকুল। এই শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ফুটপাতের ছিন্নমূল ও বস্তিতে বসবাসকারী নিম্নবিত্তদের অবস্থাও করুণ হয়ে পড়েছে। এই ঠা-ায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকে। এছাড়া কুয়াশা ও শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। এতে করে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন। বিভিন্ন গ্রামের লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তরা শীত নিবারণ করছেন। তারপরও শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে বের হচ্ছেন। অন্যান্য বার শীতে গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও এবার নির্বাচনের জন্য তা হয়নি। ফলে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষ এখনো শীতে কষ্ট ভোগ করছে।এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাজশাহীতে একদিনের ব্যবধানে কমেছে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশায় দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা নেই সূর্যের। ফলে রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে জানুয়ারির এ সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ে। এখন শীতের প্রকোপ বেশি। আকাশে মেঘ ছিল সেটা কেটে গেছে। এখন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে। আর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন। এরআগে শুক্রবার উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাজশাহীতে হঠাৎ তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছিলো ।।#