পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার নির্বাচনী প্রচারণা ব্যবহার করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খানের দলকে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়না। তাই রোববার তার দলের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এআই দিয়ে তৈরি অডিও ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) ভার্চুয়াল সমাবেশে চালানো এই অডিও ক্লিপটি ইউটিউবে ১৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষ এটি শুনেছে।
ইমরান খানকে আগস্ট থেকে কারাগারে রাখা হয়েছে। সাইফার মামলায় তার বিচার চলছে। তিনি বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আটকানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি জেলে থাকলেও তার দল পিটিআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে চার মিনিটের একটি বার্তা তৈরি করেছে। ইন্টারনেটে গোলযোগ থাকা সত্ত্বেও রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ‘ভার্চুয়াল র্যালি’ শিরোনামের সমাবেশটি সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তার দলের প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটাতে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে এএফপি।
পিটিআই বলেছে, ইমরান খান আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি শর্টহ্যান্ড স্ক্রিপ্ট পাঠিয়েছিলেন। বার্তাটি এআই ফার্ম ইলাভেন ল্যাবস-এর একটি টুল ব্যবহার করে রেকর্ড করা হয়েছিল। ইমরান খানের আগের ভাষণ থেকে কণ্ঠ নকল করে বার্তাটি তার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
এআই দিয়ে তৈরি বার্তায় বলা হয়, ‘আমার সহযোদ্ধারা, আমি প্রথমে এই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া টিমের প্রশংসা করতে চাই। হয়তো আপনারা সবাই ভাবছেন আমি জেলে কেমন আছি। আজ, সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আমার সংকল্প খুবই দৃঢ়।’
ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইউটিউবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থকদের বক্তৃতার পাঁচ ঘণ্টার লাইভ-স্ট্রিমের শেষে অডিওটি সম্প্রচার করা হয়েছিল। ইমরান খানের আগের ফুটেজ ও ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান জিবরান ইলিয়াস বলেছেন, ‘এটি আমাদের জন্য কোন চিন্তার বিষয় ছিল না, যখন ইমরান খান আসলে রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেই।’
পাকিস্তানের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে সামাজিক মাধ্যমের সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়েছে পিটিআই।